বিশ্বে জীবন বিনাশী করোনাভাইরাসে
আক্রান্তের হিসাবে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা তিন লক্ষ ৬৮ হাজার। তার পরেই রয়েছে স্পেন, ইটালি ও জার্মানি।
মৃত্যুর হিসাবে বিশ্বে শীর্ষ স্থানে ইতালি থাকলেও, প্রতি দিনের মৃত্যুর হারে কিছুটা কমে এসেছে। গত সপ্তাহের চাইতে মৃত্যুর সংখ্যাটা এক লাফে অনেকটাই নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে তারা। রবিবার সেখানে মৃত্যু হয় ৫২৫ জনের। দেশে করোনা সংক্রমণের পর থেকে যা সর্বনিম্ন বলেই জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ওই দিন নতুন করে সংক্রমিত হন চার হাজার ৩১৬। এ যাবৎ দিন পর্যন্ত প্রতি দিনে যে সংখ্যাটা ছিল ৬ হাজার। ইতালির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রের বরাতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মৃত্যুর গ্রাফটা যে ভাবে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছিল, তা অনেকটাই নামিয়ে আনা হয়েছে। সংক্রমণ যাতে আর বাড়তে না পারে তার জন্য কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন প্রশাসন। জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই মুহূর্তে ইতালিতে আক্রান্ত প্রায় এক লক্ষ ৩৩ হাজার মানুষ। মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১৬ হাজার।
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১৩ লক্ষ। মৃত্যু হয়েছে ৭৪ হাজারেরও বেশি মানুষের। আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে আমেরিকা। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা তিন লক্ষ ৬৮ হাজার। তার পরেই রয়েছে স্পেন, ইতালি ও জার্মানি।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়েছিল চিন থেকে। কিন্তু এই দেশ সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার অনেকটাই কমিয়ে এনেছে দ্রুত। ফলে সংক্রমণ ও মৃত্যুর তালিকায় অনেকটাই নীচে নেমে এসেছে তারা। কিন্তু আমেরিকা এবং ইউরোপের দেশগুলি যেমন স্পেন, ইতালি, ফ্রান্স এবং জার্মানিতে সংক্রমণ এবং মৃত্যু লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। শুরুর দিকে সংক্রমণের তালিকার অনেকটাই নীচের দিকে ছিল আমেরিকা। চিন ছিল শীর্ষস্থানে। এই মুহূর্তে সংক্রমণের দিক থেকে সকলকে টপকে গিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশ। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় তিন লক্ষ ৩৮ হাজার। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুও। ইতিমধ্যেই মৃত্যু ১০ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে সেখানে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা নিউ ইয়র্কের। তবে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমো। গত দু’দিনে মৃত্যুর হার যেমন কমেছে, পাশাপাশি সংক্রমণেও অনেকটা হ্রাস পেয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই সংখ্যা কমার কারণ হিসাবে সামাজিক দূরত্বের ভূমিকা ছিলো গুরুত্বপূর্ণ।
আক্রান্তের হিসাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে স্পেন। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৩৬ হাজার। তবে স্পেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, সোমবার নতুন আক্রান্তের সংখ্যাটা অনেকটাই কমেছে। যা গত দু’সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে কম। প্রতি দিনে মৃত্যুর হারও সামান্য কমেছে।
সর্বশেষ এখন পর্যন্ত বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ লাখ ৬০ হাজার ২৩৩ জন। মৃত্যুর সংখ্যা ৭৫ হাজার ৯৬১ জন বলে জানাগেছে।