সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যেই ভারতীয় বিমান বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হলো পাঁচটি রাফাল যুদ্ধবিমান। ২৯ জুলাই ফ্রান্স থেকে ভারতে আনা হয়েছিল এই যুদ্ধবিমানগুলো।
এতদিন এগুলো আম্বালা বিমানঘাঁটিতে রাখা হয়েছিল। অবশেষে বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় বিমানবাহিনীর ১৭ নম্বর গোল্ডেন অ্যারো স্কোয়াড্রনের অন্তর্ভুক্ত করা হলো রাফাল যুদ্ধবিমানগুলোকে।
মস্কো ফেরত ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। উপস্থিত ছিলেন ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফ্লোরেন্স পার্লে, ভারতের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত, ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আর কে এস ভাদুরিয়া এবং প্রতিরক্ষা সচিব অজয় কুমার।
ভারতে ফরাসি রাষ্ট্রদূত এমানুয়েল লেনায়েন ও ফরাসি এয়ার জেনারেল এরিক অটলে এবং দাসো অ্যাভিয়েশনের প্রতিনিধিরাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সব রকম প্রথা মেনে, সর্ব ধর্ম আরাধনার পরেই রাফাল ফাইটার জেটগুলোকে স্কোয়াড্রনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এয়ার শো-তে রাফালের সঙ্গেই অংশ নিয়েছিল সুখোই-৩০এমকেআই, তেজস, জাগুয়ার যুদ্ধবিমানও। ছিল ধ্রুব হেলিকপ্টার।
অনু্ষ্ঠানে রাজনাথ সিং বলেন, এই অন্তর্ভুক্তিকরণ বিশ্বকে বিশেষত যারা ভারতের দিকে চোখ তুলে তাকানোর সাহস দেখায়০ তাদের জন্য কড়া বার্তা। সীমান্তে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেই অবস্থায় এই অন্তর্ভুক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা পদক্ষেপ।
সীমান্তে যেভাবে উত্তাপ বাড়ছে তাতে নিরাপত্তার জন্য রাফালের মতো যুদ্ধবিমান প্রয়োজন। বিশেষত সীমান্তের পাহাড়ি এলাকায় প্রতিরক্ষার জন্য রাফালের মতো শক্তিশালী ফাইটার জেট ভারতের শক্তি আরো বাড়াবে।’
ভারতীয় বিমান বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, এই পাঁচ রাফালকেই পাঠানো হবে লাদাখ সীমান্তে। এখন হিমাচল প্রদেশের পাহাড়ি এলাকায় সেই প্রস্তুতি চালাচ্ছে যুদ্ধবিমানগুলো। রাতের বেলা পাহাড়ি এলাকায় নজরদারি চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন পাইলটরা। প্রয়োজন হলে কীভাবে মিসাইল ছুড়তে হবে শত্রু ঘাঁটিতে তার প্রশিক্ষণও চলছে।
৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমানের জন্য ফ্রান্সের দাসো অ্যাভিয়েশনের সঙ্গে ৫৯ হাজার কোটি রুপি চুক্তি হয়েছিল ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে। এরমধ্যে পাঁচটি এখন ভারতের মাটিতে। আরো যে পাঁচটি রাফাল আসছে ভারতের হাতে, সেগুলো থেকে মেটিওর ও স্ক্যাল্প ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া যাবে।