উত্তেজনাপূর্ণ আবহের মধ্যেই নিজের অস্ত্রভাণ্ডারকে আরো উন্নত করল ভারত৷ এবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে আসছে অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র৷
ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে একে-৪৭ ২০০৩ রাইফেলস নিয়ে ব্যবসায়িক চুক্তি চূড়ান্ত হয়ে গেল৷ চুক্তির উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে এই সমস্ত রাইফেলস ভারতেই প্রস্তুত হবে৷
একে-৪৭ ২০০৩ এবং একে-৪৭ এই দুই রাইফেলই -আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে সবচেয়ে উন্নত ও উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন৷
এই ভয়ঙ্কর মারণাস্ত্র এবার ইন্ডিয়ান স্মল আর্মস সিস্টম অ্যাসল্ট রাইফেলের জায়গা নেবে৷ ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৭ লাখ ৭০ হাজার একে-৪৭ রাইফেলের প্রয়োজন রয়েছে। এরমধ্যে এক লাখ আমদানি করা হবে। বাকিটা ভারতেই উৎপাদন করা হবে।
এই রাইফেল থেকে এক মিনিটে ৬০০ গুলি বেরোয়৷ আর এক সেকেন্ডে ১০ টি গুলি বেরোয়৷ এটা অটোমেটিক ও সেমি অটোমেটিক দুটি মোডেই ব্যবহার করা যায়৷ এর রেঞ্জ ৪০০ মিটার পর্যন্ত৷ এই রাইফেল লোড করার পর এর ওজন হবে ৪ কেজি৷
মস্কোয় সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর বার্ষিক সম্মেলনের সময় রাশিয়ার সঙ্গে এই চুক্তি চূড়ান্ত হয়।
আগের মডেলের থেকে অনেক উন্নত এই মডেল, পাশাপাশি হিমালয়ের উঁচু পার্বত্য এলাকায় এই রাইফেল অত্যন্ত কার্যকারী ভূমিকা পালন করবে৷
উত্তর পূর্ব রাজ্য থেকে লাদাখ এই বিস্তৃত সীমান্ত চীনের সঙ্গে উঁচু পার্বত্য সীমান্ত রয়েছে ভারতের৷ সম্প্রতি সেনা সংঘর্ষের জেরে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছে।
এই পরিস্থিতিতে রুশ একে-৪৭ রাইফেল চুক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা। ভারতীয় সেনারা এতোদিন যে ইনসাস রাইফেল ব্যবহার করতো হিমালয়ের উচ্চতায় সেটার জ্যামিং আর ম্যাগাজিন ক্র্যাক হয়ে যেত৷
ভারতীয় সেনার ৭ লাখ ৭০ হাজার রাইফেল প্রয়োজন৷ এসব রাইফেল ভারতে ইন্দো-রাশিয়া রাইফেল্স প্রাইভেট লিমিটেড (আইআরআরপিএল) -এ যৌথভাবে তৈরি করা হবে। এই অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ড ও কালাসনিকভ কংসর্ন ও রোসোবোরোনএক্সপোর্টের মধ্যে এই চুক্তি হয়েছে৷
এতে ভারতীয় অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের ৫০ শতাংশ অংশিদারিত্ব থাকবে।
রাশিয়ার কালাসনিকভের ৪২ শতাংশ ও সরকারি এক্সপোর্ট এজেন্সি রোসোবোরোনএক্সপোর্টের৭.৫ শতাংশ অংশিদারিত্ব থাকছে৷
