ভারতের উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ তুষারধসের ঘটনায় বন্যা দেখা দিয়েছে। আজ রবিবার সকালে রাজ্যটির চামোলি জেলার জোশিমঠের তপোবনে নন্দাদেবী হিমবাহে ধস নামে।
এরপর আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। এ বন্যায় শতাধিক মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ তুষারধসের ঘটনায় অলকানন্দা নদীতে অবস্থিত ঋষিগঙ্গা বাঁধ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রবিবার সকালে চামোলি জেলার জোশিমঠের তপোবনে নন্দাদেবী হিমবাহে ধস নামে এবং তা ঋষিগঙ্গা বাঁধের ওপর গিয়ে পড়ে। এ ঘটনায় পুরো এলাকা বন্যয় প্লাবিত হয়েছে। উত্তরাখণ্ড রাজ্যের মুখ্যসচিব ওম প্রকাশ বলেছেন, এখন পর্যন্ত কত মানুষ মারা গেছেন তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তবে মৃতের সংখ্যা ১০০ থেকে ১৫০ জন হতে পারে।
এ ধসের ফলে ঋষিগঙ্গা বাঁধে ফাটল দেখা গেছে। ধৌলিগঙ্গা নদীর জলস্তরও দ্রুত বাড়ছে। নদী তীরবর্তী গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে। ধৌলিগঙ্গা এলাকার রেনি গ্রামে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঋষিগঙ্গা বিদ্যুৎ প্রকল্পের দেড়শো জনেরও বেশি শ্রমিক নিখোঁজ বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গেছে।
এ আকস্মিক তুষার ধসে চার জেলায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। উদ্ধারকাজের জন্য শ’খানেক আইটিবিপি জওয়ানদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)-ও। এ ছাড়া ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত জানিয়েছেন, প্রবল বৃষ্টি ও প্লাবনের জেরে চামোলির রেনি গ্রামে ঋষিগঙ্গা প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অলকানন্দায় নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের এলাকা থেকে সরানো হয়েছে। এ ছাড়া আসাম থেকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উত্তরাখণ্ডের পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজ নিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। ইতিমধ্যে গোটা দেশ উত্তরাখণ্ডের পাশে রয়েছে বলে টুইট করেছেন মোদি। এই ঘটনায় খোঁজ নিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
নয়াদিল্লি থেকে আরো এনডিআরএফ সদস্য দলকে উত্তরাখণ্ডে এয়ারলিফটে করে নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অমিত।