ভারতের উত্তর প্রদেশের কানপুরে কুখ্যাত এক আসামিকে ধরতে গিয়ে তার সহযোগীদের গুলিতে আট পুলিশ সদস্যের প্রাণ গেছে।
বিকাশ দুবে নামের কুখ্যাত এক অপরাধীকে গ্রেফতার করতে পুলিশের একটি দল গভীর রাতে বিকারু গ্রামে যায়।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে লখনৌ থেকে দেড়শ কিলোমিটার দূরে কানপুরের বিকারু গ্রামে এ ঘটনায় পুলিশের গুলিতে আরও তিনজন নিহত হয়েছে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
কিন্তু পুলিশ ওই গ্রামে পৌঁছানোর আগেই একটি বুলডোজার ফেলে রেখে রাস্তা বন্ধ করে দেয় বিকাশের সহযোগীরা। গাড়ি থেকে নেমে পুলিশ গ্রামে ঢোকার সময় শুরু হয় এলোপাতাড়ি গুলি।
হত্যা, অপহরণসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৬০টির বেশি মামলা রয়েছে বিকাশের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি আরও একটি হত্যাকাণ্ডে তার নাম এলে তাকে গ্রেফতারে অভিযানে যায় পুলিশ।
আরও চারজন পুলিশ সদস্যকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পরে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিশের পাল্টা গুলিতে তিন সন্ত্রাসী নিহত হলেও বিকাশকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
বাড়ির ছাদে উঠে তিন দিক থেকে পুলিশের ওপর গুলি চালানো হয়। তাতে একজন ডেপুটি পুলিশ সুপার, তিনজন এসআই, চারজন কনস্টেবল ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
পরিস্থিতির মোকাবিলায় কনৌজ ও কানপুরের দেহাত থেকে বিপুলশ সংখ্যক পুলিশ এনে বিকারু গ্রামের আশপাশে মোতায়েন করা হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ পুলিশ সদস্যদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। পুলিশের পরিকল্পনা ও প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে বলেছেন।
আমরা তাকে গ্রেফতার করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে অ্যাম্বুশ করা হল। যেভাবে তিন দিক থেকে গুলি করা হল, সেটা অত্যন্ত সুপরিকল্পিত।”
উত্তর প্রদেশ পুলিশ প্রধানকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে।
২০০১ সালে বিজেপি নেতা সন্তোষ শুক্লাকে তাড়া করে এক থানার ভেতরে গুলি করে হত্যার ঘটনার জন্যও তাকে দায়ী করা হয়, যদিও শেষ পর্যন্ত ওই মামলায় খালাস পেয়ে যান বিকাশ।