ভারতের ত্রিপুরায় গরু চুরির অভিযোগে জায়েদ হুসাইন (২৮), বিলাল মিয়া (৩০) ও সাইফুল ইসলাম (১৮) নামের তিন মুসলিমকে হত্যা করেছে উগ্রবাদী হিন্দুরা।
রবিবার ত্রিপুরার খোয়াই জেলায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। উগ্রবাদী হিন্দুরা জায়েদ হুসাইন ও বিলাল মিয়াকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করছিলেন। ওই সময় সাইফুল ইসলাম পালিয়ে যেতে চেষ্টা করেন। কিন্তু পরে সাইফুল ইসলামকে তারা ধরে ফেলে। তিনজনকে নৃশংসভাবে পেটানো হয়।
মৃত তিনজনের বাড়ি সোনামুড়া এলাকায়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে চুরি যাওয়া ৫টি গরু এবং একটি গাড়ি। ঠিক কী ঘটেছিল? এ বিষয়ে গ্রামবাসীদের দাবি, গতকাল রবিবার ভোররাতে একদল গরুচোর এই এলাকায় হানা দেয়। তারা ৫টি গরু চুরি করে পালানোর চেষ্টা করে।
তখনই গ্রামবাসীদের নজরে পড়ে যায় তারা। প্রথমে তাদের আটক করে গ্রামবাসী। তারপর গণধোলাই শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে তিন চোর। পরে তাদের রক্তাক্ত অবস্থায় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাদের মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
ত্রিপুরা রাজ্য পুলিশের দাবি, পাঁচটি গরু গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাবার সময় এ তিন মুসলিমকে দেখতে পায় স্থানীয় উগ্রবাদী হিন্দুরা। তখন তাদের পিছু নেয় তারা। খোয়াই জেলার পুলিশ সুপার কিরণ কুমার সাংবাদিকদের জানান, তারা উত্তর মহারাণীপুর গ্রামে ওই গরুবাহী গাড়িটি থামাতে সক্ষম হয়।
এ সময় উগ্রবাদী হিন্দুরা ওই তিন মুসলিমকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করা শুরু করে এবং মারাত্মক অস্ত্র দিয়ে তাদের আঘাত করতে থাকে।
এ সময় ঘটনাস্থলেই দুই মুসলিম নিহত হন। কিরণ কুমার বলেন, পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কল্যাণপুর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্তও শুরু করেছে।