জঙ্গি ঢোকাতে সীমান্তে সুড়ঙ্গের ব্যবহার করছে পাকিস্তান। আর সেই জঙ্গিদের জন্য আকাশ থেকে ড্রোনের মাধ্যমে অস্ত্র ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের প্রধান দিলবাগ সিং।
সাম্বা জেলার গালার গ্রামে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর যে ১৭০ মিটারের সুড়ঙ্গের সন্ধান পাওয়া গেছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর সেটি ঘুরে দেখেন জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ডিজি।
পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের মাত্রা বৃদ্ধির জন্য এপারে (ভারতে) জঙ্গি ঢোকানোর পথ প্রশস্ত করতে পাকিস্তানের যে জঘন্য উপায় আছে, তার অঙ্গ হিসেবে আন্তর্জাতিক সীমানার নীচে সুড়ঙ্গ খোঁড়া হয়।
গত ২৮ আগস্ট সাম্বা সেক্টরে সেই আন্তঃসীমান্ত সুড়ঙ্গের খোঁজ পেয়েছিল ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। ২০-২৫ ফুট গভীর সুড়ঙ্গটি পাকিস্তান ভূখণ্ড থেকে শুরু হয়েছিল।
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের প্রধান বলেন, বিশাল সুড়ঙ্গটি দেখলাম। ২০১৩-১৪ সালে ছানয়ারিতে যে সুড়ঙ্গের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল, সেটির মতোই প্রায় এই সুড়ঙ্গটি। নাগরোটা এনকাউন্টারের পর আমরা নির্দিষ্ট তথ্য পাই যে একটি সুড়ঙ্গের মাধ্যমে অনুপ্রবেশ হয়েছে এবং সেটার সন্ধান করছিলাম।
চলতি বছর জানুয়ারিতে নাগরোটায় ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে তিন জইশ-ই-মোহাম্মদ জঙ্গি নিহত হয়েছিল। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ডিজি বলেন, তদন্ত চলছে।
তবে ভূমির বিভিন্ন বিষয় ইঙ্গিত করছে যে অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে পাঠাতে অতীতে এই সুড়ঙ্গটি ব্যবহার করেছিল পাকিস্তান।
এলাকায় আর কোনো সুড়ঙ্গ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে বিএসএফ এবং পুলিশ অনুসন্ধান চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
অন্ততনাগ জেলায় একটি ট্রাক থেকে এম-১৬ রাইফেল-সহ অত্যাধুনিক অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জইশের দুই সদস্য সাম্বা থেকে অস্ত্র নিয়ে যাচ্ছিল। দক্ষিণ কাশ্মীরে সক্রিয় জঙ্গিদের হাতে সেই অস্ত্রগুলো তুলে দেওয়াই ছিল লক্ষ্য।
বিষয়টি নিয়ে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের প্রধান জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ড্রোন ব্যবহার করে সাম্বা সেক্টরে অস্ত্রগুলি ফেলা হয়েছিল।