ভিয়েতনামে ১০০ দিন পর স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত একজন কোভিড-১৯ রোগী পাওয়া গেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এর পরপরই দেশটি ফের নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে উচ্চ সতর্কাবস্থায় ফিরে গেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র দানাংয়ের ৫৭ বছর বয়সী এক ব্যক্তির নমুনা তিনবার পরীক্ষা করে প্রত্যেকবারই করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ৫০ ব্যক্তিকে আইসোলেশনে রাখা হয়। ওই লোকের সঙ্গে যোগাযোগ থাকা ১০৩ ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা করা হয়, তবে সব পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেলেও ভিয়েতনামের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সরকারিভাবে ঘটনাটিকে কোভিড-১৯ বলে নিশ্চিত করেনি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
কীভাবে এই লোক ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছেন বিবৃতিতে তা বলা না হলেও প্রায় এক মাস যাবৎ তিনি দানাংয়ের বাইরে যাননি বলে জানানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তার নিউমোনিয়া সংক্রমণ ধরা পড়েছিল।
দেশটি আগ্রাসী ও সুনির্দিষ্ট শনাক্তকরণ পরীক্ষা এবং কেন্দ্রীয় কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে তাদের করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৪১৫ জনে ধরে রাখতে পেরেছে। তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে ভিয়েতনাম স্থানীয় সংক্রমণের ঘটনা ঠেকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু করার প্রস্তুতি নেওয়ার সময়টিতেই দেশটিতে স্থানীয়ভাবে সংক্রমণের এ ঘটনা শনাক্ত হল। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক ফ্লাইটের ওপর দেশটির নিষেধাজ্ঞা এখনও বহাল থাকলেও বিদেশি বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ কর্মীরা মহামারীর পুরোটা সময়জুড়েই ভিয়েতনামে প্রবেশ করতে পেরেছেন, কিন্তু দেশটিতে প্রবেশ করার পর তাদের বাধ্যতামূলকভাবে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয়েছে।
গত তিন মাসে দেশটি প্রায় দেড়শ জনের মতো করোনাভাইরাস আক্রান্তের কথা জানিয়েছে। এদের সবাই বিদেশ থেকে সেখানে গিয়ে কোয়ারেন্টিনে ছিলেন আর ওই সময়ই তাদের সংক্রমণ শনাক্ত হয়।
নিরক্ষীয় গিনিতে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়া প্রায় ১৩০ জন ভিয়েতনামীকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ের কর্তৃপক্ষ বাসিন্দাদের ফের জনসম্মুখে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে।