ভ্যাকসিন তৈরি দ্রুততর করার লক্ষ্যে বিনিয়োগের পরিমাণ দ্বিগুণ করে প্রায় ১০০ কোটি মার্কিন ডলার করেছে। মার্কিন বায়োটেক কম্পানি মর্ডানার কভিড-১৯-এর ভ্যাকসিন গবেষণা দ্রুততর করার লক্ষ্যে দেশটি এ উদ্যোগ নিয়েছে। মর্ডানা সোমবার থেকে তাদের ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের চূড়ান্ত ধাপ শুরু করেছে।
সরকার এখন ৪৭ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার পর্যন্ত ব্যয়ের পরিকল্পনা করছে। এর আগে ৪৮ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
মর্ডানা সরকারের এই অতিরিক্ত বিনিয়োগের সিদ্ধান্তে সমর্থন জানিয়ে বলেছে, ফলে চূড়ান্ত ধাপের পরীক্ষা ৩০ হাজার অংশগ্রহণকারীকে অন্তর্ভুক্ত করে ব্যাপক পরিসরে করা সম্ভব হবে।
পরীক্ষায় ৩০ হাজারের অর্ধেককে ভ্যাকসিনের ১০০ মাইক্রোগ্রাম করে ডোজ দেওয়া হবে। বাকি অর্ধেককে সান্ত্বনামূলক বা মিছেমিছি ডোজ (প্লাসেবো) দেওয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু সবচেয়ে বেশি। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে এক লাখ ৪৬ হাজারেরও বেশি লোক। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে দিনদিনই নতুন সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে।
এ প্রেক্ষাপটে আমেরিকা ভ্যাকসিন তৈরিতে ব্যাপক বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। দেশটি চাচ্ছে, আগামী বছরের প্রথমেই যেন লাখ লাখ আমেরিকান ভ্যাকসিন পায়।
এদিকে আমেরিকান-জার্মান বায়োএনটেক ও ফাইজার কম্পানি ঘোষণা দিয়েছে ১০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন তৈরির জন্য মার্কিন সরকার তাদের ১৯৫ কোটি ডলার দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে।
তারা ২০২১ সাল থেকে বছরে ৫০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন তৈরিতে সক্ষম হবে, যা ১০০ কোটিতে দাঁড়াতে পারে।
উল্লেখ্য, বিশ্বে প্রায় ২০০টি ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ চলছে। এর মধ্যে ২৩টির ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা চলছে।