উগ্রপন্থী এক মুসলিম যুবকের হাতে রাজধানী প্যারিসে শিক্ষক হত্যাকাণ্ডের পর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিস্তার ঠেকাতে কঠোর হয় ফ্রান্স সরকার।
ছয় মাসের জন্য উত্তর পূর্ব প্যারিসের প্যানটিন মসজিদ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় দেশটির একটি মুসলিম এনজিও বন্ধ করে সরকার।
বন্ধ করে দেওয়ার সরকারি আদেশের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করে মসজিদ পরিচালনা কমিটি।
এনজিওটি বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে সরকার জানায়, উগ্রপন্থী মুসলিমদের সঙ্গে সম্পর্ক এবং সন্ত্রাসবাদী হামলায় সমর্থন রয়েছে এর।
তাছাড়া সংস্থাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হিংসাত্মক ও বৈষম্যমূলক বার্তা ছড়াচ্ছে। অভিযোগ অস্বীকার করে এনজিওটির পক্ষ থেকেও আদালতে আবেদন করা হয়।
সরকারের এ পদক্ষেপের সমর্থন দিয়ে আদালত জানায়, সহিংস ও বৈষম্যমূলক বার্তা ছড়ানোয় এনজিওটিকে বন্ধ করে দিতে সরকারের আদেশ যুক্তিযুক্ত।
একই যুক্তি দেখিয়ে মসজিদটি বন্ধে সরকারের পদক্ষেপের সমর্থন জানিয়েছে আদালত।
মসজিদ কমিটির সদস্যদের মন্তব্য এবং তারা যে ধরনের বিষয়ে আলোচনা করে তা সহিংসতা ছড়াতে পারে বলে অভিমত আদালতের।