ভারতের দ্রুত হারে বেড়ে চলেছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। এরই মধ্যে দিল্লির নিজামুদ্দিনে তবলীগ জামাত-এর ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সব মিলিয়ে প্রায় ৯,০০০ মানুষের জমায়েতের বিষয়টি সামনে আসে। ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া ২১ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। মৃত্যু হয়েছে দু’জনের।ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, মনে করা হচ্ছে অন্তত ৪০০ জন করোনা আক্রান্তের যোগসূত্র রয়েছে এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে। বিষয়টি নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে নিজামুদ্দিন মারকাজের প্রধান ৫৬ বছর বয়সী মাওলানা সাদ কান্ধলভির খোঁজ নেই। গত ২৮ মার্চ থেকে তাকে খুঁজছে পুলিশ।
সূত্রের বরাতে এনডিটিভি বলছে, মাওলানা সাদও করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন।দিল্লি পুলিশের বেশ কয়েকটি দল উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগরেও অভিযান চালিয়েছে। তল্লাশি চলছে রাজধানী দিল্লিতেও। ১৪টি হাসপাতালের সঙ্গেও পুলিশ যোগাযোগ করেছে।
মাওলানা সাদের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযোগ, তিনি নিজামুদ্দিন মারকাজে মানুষকে জমায়েত হতে উৎসাহ দিয়েছেন। করোনা সংক্রমণ রুখতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও বড় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞার সময় তিনি এই কাজ করেছেন। এমনকি, তিনি বাড়ি খালি করে দেওয়ার দু’টি পুলিশি বিজ্ঞপ্তিও অগ্রাহ্য করেন।আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়েছে, একশো বছরের বেশি বয়স নিজামউদ্দিনের ওই বাড়িটির। নিজামউদ্দিনের ওই ঘটনায় মওলানা সাদ ছাড়াও, মারকাজের আরও ছয় জনকে খুঁজছে দিল্লি পুলিশ।এরমধ্যে বুধবার (১ এপ্রিল) মাওলানা সাদের নামে দু’টি অডিও প্রকাশ্যে আসে। মারকাজ ইউটিউব চ্যানেলে প্রথম অডিওয় বলা হয়েছে, মসজিদই মৃত্যুর জন্য সেরা স্থান।