মালয়েশিয়ার উত্তরাঞ্চলের উপকূলে রোহিঙ্গা শরণার্থী বোঝাই একটি নৌকা ডুবে অন্তত ২৪ জন মারা গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নৌকাডুবির পর মাত্র একজনকে এখনো পর্যন্ত জীবিত উদ্ধার করা গেছে। বাকি ২৪ জনের কোনো খোঁজ নেই। মালয়েশিয়ার কোস্টগার্ড কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, বাকি ২৪ জনেরই সলিল সমাধি হয়েছে।
পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, যে অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে তিনি আরো ২৪ জনসহ একটি নৌকায় ছিলেন। নৌকা থেকে নেমে সাঁতরে তীরে পৌছান তিনি।’ কোস্টগার্ড প্রধানের বরাত দিয়ে জানানো হয়, আটক করা ব্যক্তির নাম নুর হোসেন। তার বয়স ২৭।
কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে দু’টি নৌকা ও একটি বিমানের মাধ্যমে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে, তবে আরেকজন কর্মকর্তা এএফপিকে জানিয়েছেন এখন পর্যন্ত কোনো মরদেহ বা নৌকাডুবি থেকে বেঁচে যাওয়া কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
শনিবার ভোর রাতের দিকে ২৫ জন সাঁতরে দ্বীপের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে যাদের মধ্যে শুধুমাত্র একজন তীরে পৌঁছাতে পারে।
রোহিঙ্গা শরণার্থী বহনকারী নৌকাটি কেন ডুবে গিয়েছিল বা সেটি উদ্ধার করা গেছে কিনা, সে সম্পর্কে কিছু জানায়নি কর্তৃপক্ষ। এই রোহিঙ্গা শরণার্থীরা কোথা থেকে মালয়েশিয়ার উপকূল পর্যন্ত গিয়েছিলেন, সেটি এখনো জানানো হয়নি।
ফেব্রুয়ারি মাসে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে রোহিঙ্গা বোঝাই একটি ট্রলার ডুবে যায়, যে ট্রলারে থাকা অনেকেই কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির থেকে দালালের মাধ্যমে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলে কর্তৃপক্ষ সে সময় জানিয়েছিল।
এরপর এপ্রিল মাসে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা বোঝাই আরেকটি ট্রলার উদ্ধার হয়, যে নৌকাটি প্রায় দুই মাস সমুদ্রে ভেসে ছিল বলে খবর প্রকাশিত হয়েছিল। ওই নৌকায় থাকা রোহিঙ্গারাও মালয়েশিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করছিল বলে বলা হয়েছিল।
এপ্রিলের শুরুতে দুই শো’রও বেশি মানুষ নিয়ে মালয়েশিয়ার উপকূল থেকে রোহিঙ্গা বোঝাই একটি নৌকা আটক করার কথা জানিয়েছিল দেশটির কোস্টগার্ড।