স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদ শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্লাসা কোলোনে রোববার হাজারো মানুষ মাস্ক বিরোধী বিক্ষোভে জড়ো হন।মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতার বিরুদ্ধে তাদের থেমে থেমে নানান স্লোগান দিতে দেখা গেছে। অনেকের হাতে ছিল মাস্ক ও অন্যান্য বিধিনিষেধ বিরোধী প্ল্যাকার্ড।
বিস্তার রোধে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে স্পেনের সরকার। কিন্তু সরকারের এমন সিদ্ধান্তে নাখোশ দেশটির কিছু মানুষ রীতিমত আন্দোলনে নেমে পড়েছেন।
মে মাসেই স্পেনের মাদ্রিদে গণপরিবহনে ভ্রমণকালে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়। পরে পুরো দেশেই এই নিয়ম চালু করা হয়।
লকডাউন তুলে নেওয়ার পর থেকে স্পেনে ফের করোনা শনাক্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশটির ২৮ হাজার ৬০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
আরও কিছু নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা আসে, যার মধ্যে প্রকাশ্যে ধূমপান নিষিদ্ধ করা একটি।
জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক জায়গায় মাস্কবিরোধী বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। অনেককে প্রকাশ্যে জনসভা এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে মাস্কের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতেও দেখা গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বলা হয়েছে, শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়া যায় এমন জিনিস দিয়ে তৈরি ফেস মাস্ক যদি ঠিকমত পরা হয় তা শরীরের জন্য কোনো সমস্যা সৃষ্টি করে না। আমেরিকার রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র সিডিসি করোনার বিস্তার ঠেকাতে পরামর্শ দিয়েছে মুখ ঢাকার জন্য যে কোনো কাপড় ব্যবহারের। ফলে মাস্ক বিরোধী এই আন্দোলন আদতে করোনা সংক্রমণ বিস্তারে ভূমিকা রাখছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
কেউ কেউ দাবি করেছেন, মাস্ক পরার কারণে রক্তচাপ বেড়ে যায়, ফুসফুসে অক্সিজেনের চলাচল কমে যায়, কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। কিন্তু বাস্তবে এসব দাবির স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।