মিয়ানমারে বিজ্ঞানীরা নতুন ছয় প্রজাতির করোনা ভাইরাস আবিষ্কৃত করেছেন যা মিয়ানমার অধ্যুষিত কয়েক প্রজাতির বাদুড়ের মাঝে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এই ভাইরাসগুলি ‘SARS- COV 2 যার কারণে ‘COVID-19’ এর উৎপত্তি তাদের সমগোত্রীয় বলে বিজ্ঞানীগণ নিশ্চিত করেছেন। এই ভাইরাসগুলি পাওয়া গেছে তিন প্রজাতির বাদুড় যেগুলো হচ্ছে – এশিয়ার ইয়েলো হাউস বাদুড়, রিংকেল লিপড লেজহীন বাদুড় এবং হর্সফিল্ড পাতলা নাসিকা বিশিষ্ট বাদুড়ের মাঝে।
COVID 19 বর্তমান পৃথিবীতে এক ভয়াবহ দূর্যোগ সৃষ্টি করেছে। এখন পর্যন্ত সারা পৃথিবীতে মোট আক্রান্ত ২১ লাখ ২৮ হাজার ৫৫৬ জন এবং মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৪২ হাজার ৬২৪ জন।
বিজ্ঞানীদের একটি দল মিয়ানমারের ১১টি ভিন্ন জায়গায় পরীক্ষা করে এটি নিশ্চিত করেছে। গবেষকদের এই দলটি সর্বমোট ৭৫০টি স্যাম্পল সংগ্রহ করেন ২০১৬ সালের মে মাস হতে ২০১৮ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত।
এছাড়াও লাইভ সাইন্স এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ইতিমধ্যে তারা এই নতুন ভাইরাসসমূহের নামকরণ করেছেন। যার মধ্যে এশিয়ার ইয়েলো হাউস প্রজাতির বাদুড়ের মাঝে ( সম্ভাব্য নাম) COV- 90, রিংকেল লিপড লেজহীন প্রজাতির বাদুড়ের মাঝে ( সম্ভাব্য নাম) COV- 47 এবং COV- 82 এই দুটি ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। বাকী তিনটি ভাইরাস ( সম্ভাব্য নাম) COV- 92,93 এবং 96 পাওয়া গিয়েছে হর্সফিল্ড পাতলা নাসিকা বিশিষ্ট বাদুড়ের মাঝে।
সুজান মুর্যে যিনি স্মিথসোনিয়ান গ্লোবাল হেলথ প্রোগ্রাম এর ডিরেক্টর এই ভাইরাসগুলি সম্পর্কে মন্তব্য করেন – বহু করোনা ভাইরাসই এই পৃথিবীতে বিদ্যমান কিছু সংখ্যক ভাইরাস ব্যতীত বাকীগুলো মানবজাতির জন্য হুমকিস্বরূপ নয়। তবে তিনি এই কথাও ব্যক্ত করেন যে সমস্ত পশুপাখি হতে এ ভাইরাস শনাক্ত হচ্ছে তা মানবজাতির জন্য কতটা হুমকিস্বরূপ তা যথেষ্ট গবেষণার দাবী রাখে।
এমতাবস্থায় গত কয়েকদিন ধরে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আবারও রোহিঙ্গাদের ঢল নামায় এ নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ রয়েছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের কঠোর নজরদারির প্রয়োজন কিছুসংখ্যক রোহিঙ্গার জন্য আমরা যেন নিজেদের অস্তিত্বকে হুমকির মূখে ফেলে না দেই।