বিহারের করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে। তার কিছুটা আভাস মিলেছে বিহার সরকারের মঙ্গলবারের সিদ্ধান্তে। এ দিনই উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদী ঘোষণা করেছেন, আগামী ১৬ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ফের বিহারে পূর্ণ লকডাউন। এরই মধ্যে বিহারে করোনায় মৃতদেহ দেহ নিয়ে চূড়ান্ত অমানবিকতার অভিযোগ উঠেছে। করোনায় মৃতদের তথ্য গোপন করতে একাধিক দেহ গঙ্গায় ফেলে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নীল প্লাস্টিকে মোড়া মৃতদেহ গঙ্গায় ছুড়ে ফেলা হচ্ছে। বিহারের বিরোধীদের দাবি, ওই দেহ করোনা আক্রান্তেরই। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি গোপন করতেই এমন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁদের। যদিও এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে ওই ছবিগুলি যিনি তুলেছিলেন, ‘হিন্দুস্থান টাইমস’-এর চিত্র সাংবাদিক পারওয়াজ খান জানিয়েছেন, ‘আমি ৭ জুলাই কালী ঘাটে গিয়েছিলাম গঙ্গার জলস্তরের ছবি তুলতে। দুপুরের দিকে আমি স্পষ্টতই দেখতে পাই, তিনজন মানুষ গঙ্গায় মৃতদেহ ছুড়ে ফেলছেন। কিন্তু আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারব না, ওই দেহ করোনা আক্রান্তেরই।’ যদিও এ নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বিহার সরকার।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনার একাধিক ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। আর তাতেই শোরগোল পড়ে গেছে নীতীশ কুমারের রাজ্যে। সেই ছবি অনুযায়ী, পটনার গঙ্গায় নৌকা করে এনে ফেলে দেওয়া হচ্ছে একাধিক মৃতদেহ। যদিও ওই মৃতদেহগুলি করোনা আক্রান্তদেরই কিনা, তা নিয়ে কোনো প্রমাণ এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বাসভবনের ৮৫ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। শুধু তাই নয়, তাঁর আরো দাবি, বিহারে বিজেপির ৭৫ নেতা করোনা আক্রান্ত। বিহারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আঠারো হাজার ছুঁই ছুঁই। মৃত্যু হয়েছে ১৬০ জনের। ক্রমেই সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে বিহারে। জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে এদিন বৈঠক করেন বিহারের মুখ্য সচিব। এর পরই ৩১ জুলাই পর্যন্ত লকডাউনের ঘোষণা করেন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদী।