ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা গত শুক্রবার জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের করোনাভাইরাসের টিকাগুলো ভারতে তৈরি করা হবে।
তিনি আরো বলেছেন, এতে অর্থায়ন করবে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান; অস্ট্রেলিয়া দেবে লজিস্টিক সহায়তা।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের টিকাগুলো ভারতে তৈরি হবে। ভারতে টিকা উৎপাদন ক্ষমতা এবং এ ব্যাপারে সক্ষমতার বিষয়টি স্বীকৃত হয়েছে।
হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা আরো বলেন, ‘কোয়াড’ অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির অন্য তিন নেতার প্রত্যেকে ভ্যাকসিন মৈত্রী প্রোগ্রাম এবং আমাদের নিজস্ব প্রয়োজনীয়তা সত্ত্বেও সারা বিশ্বে টিকা সরবরাহে আমাদের প্রচেষ্টার ব্যাপারে কথা বলেছেন।
আমি মনে করি যে, করোনাভাইরাস মহামারি পেছনে ফেলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হিসেবে আমাদের প্রচেষ্টাকে দেখা হচ্ছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের করোনা টিকা তৈরি করার জন্য আমাদের দেশে উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো যাবে। আর এতে অর্থায়ন করবে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান।
লজিস্টিক সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়া তাদের জায়গা থেকে সর্বোচ্চটা করবে। অন্যদিকে, এসব টিকা যেসব দেশ গ্রহণ করবে, তাদেরও অর্থায়ন করবে অস্ট্রেলিয়া।
২০২২ সালের মধ্যে করোনা টিকার এক বিলিয়ন ডোজ উৎপাদন করা সম্ভব হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন শ্রিংলা। তিনি বলেন, ২০২২ সালের শেষ সময় পর্যন্ত এক বিলিয়ন ডোজ করোনা টিকা উৎপাদন করার ব্যাপারে ভাবছি আমরা। এটা উচ্চাকাঙ্ক্ষী টার্গেট বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বাড়তি এক বিলিয়নের বেশি করোনা টিকা উৎপাদনের ব্যাপারে শুক্রবার অস্ট্রেলিয়া, ভারত, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের অনানুষ্ঠানিক কৌশলগত ফোরাম দ্য কোয়াড্রিলেটারাল সিকিউরিটি ডায়ালগের (কোয়াড) যৌথ সম্মেলনে ঘোষণা দেওয়া হয়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই টিকা পাবে।
হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা নয়াদিল্লিতে সাংবাদিকদের বলেছেন, আমরা বিশ্বাস করি এই কর্মসূচিতে মহামারি-পরবর্তী পরিস্থিতি কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।
তিনি আরো বলেন, কোনো কিছুর বিরুদ্ধে দাঁড়ায় না কোয়াড। কোনো কিছুর জন্য এটি দাঁড়ায়। অপরের ইতিবাচক কোনো কিছুর জন্যই এটি দাঁড়ায়।