করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে খদ্দের নেই যৌনপল্লীতে। আর লকডাউন কেড়ে নিচ্ছে দু’মুঠো ভাতের জোগানও। তেমনই এক যৌনকর্মী মিগনোনের চোখে এখন ছায়া ফেলেছে মৃত্যু।
রুয়ান্ডার যৌনকর্মী মিগনোনে। বয়স পঁচিশ বছর। অল্প বয়সে বাধ্য হয়েই এই পেশায় এসেছিলেন। আজ করোনার দিনে খাবার জোগাড়ের টাকাটুকু তাঁর নেই।
এই মেয়েদের জীবনের যুদ্ধ যেন গল্প উপন্যাসকেও হার মানাবে। ভাত জোটাতে শরীর বেচেছেন যত্রতত্র। বাধিয়েছেন এইডস-এর মতো রোগ। আর আজ এই করোনার দিনে তারা পড়েছেন খুবই বিপদে।
মিগনোনে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “খালিপেটে এই ওষুধ খাওয়া ওষুধ না খাওয়ারই সামিল। এভাবে চললে মরতে হবেই।”
খাবার ছাড়াই এইচআইভি-র ওষুধ খেতে হচ্ছে। যার ফল, সারাদিন বমি পাওয়া, মাথা ঝিমঝিম, দুর্বলতা। মিগনোনের কথায় বললে, রোজ একটু একটু করে মরে যাওয়া।
করোনার মধ্যে গোটা আফ্রিকা মহাদেশের জীবনযুদ্ধের ছবিটা এমনই। সমীক্ষায় বারবার উঠে আসছে, খাদ্যের অনিশ্চয়তায় মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন কয়েক লক্ষ যৌনকর্মী। ল্যানসেটের গবেষণাপত্রে একদল বিজ্ঞানী স্বীকার করছেন সমাজের সবচেয়ে বিচ্ছিন্ন অংশ এই যৌনকর্মীরাই।
রুয়ান্ডার এক চিকিৎসক অ্যাফ্লডিস সংবাদমাধ্যমকে বলছিলেন, ‘‘আফ্রিকার দেশগুলিতে ১২ হাজারেরও বেশি এইচআইভি আক্রান্ত যৌনকর্মী রয়েছেন। আমরা বিনামূল্যে চিকিৎসা দিলেও এইচআইভির চিকিৎসা থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন তাঁরা। এই অবস্থায় সরকারের সঙ্গে কথা বলছেন তাঁরা, যাতে যৌনকর্মীরা নূন্যতম খাবারটুকু পান।’’
আর যৌনকর্মীরা যেন জেলখানায় বন্দি। যৌনপল্লি থেকে বেরোনোর পথ বন্ধ। খদ্দের নেই তাই রোজগারও বন্ধ।