চলতি বছরের শেষেই রাশিয়া থেকে ১১০টিরও বেশি ফাইটার জেট আনছে ভারত। দেশটির বিমানবাহিনীর ফাইটার জেটের সংখ্যা ক্রমশ কমতে থাকায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বছরের শেষের দিকে রাশিয়া থেকে ১১৬টি অত্যাধুনিক ফাইটার জেট আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
২১টি মিগ ২৯ আনা হবে। সূত্রের খবর, ১৯৮০ সালে এই মিগ বিমানগুলোর কাঠামো তৈরি হয়েছিল; কিন্তু কখনো ব্যবহার করা হয়নি। কাঠামো পুরনো হলেও এর যন্ত্রপাতি অত্যাধুনিক হবে বলে জানানো হয়েছে। মিগ ছাড়াও ১২টি এসইউ-৩০ এমকেআই আনা হবে। আরো আনা হতে পারে ৮৩টি তেজস মার্ক ১এ।
এক অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানিয়েছেন বিমানবাহিনীর প্রধান আর কে এস বাদোরিয়া। তিনি বলেন, যেখানে বিমানবাহিনীর ৪০ স্কোয়াড্রন ফাইটার থাকার কথা, সেখানে ৩০ স্কোয়াড্রন ফাইটার রয়েছে। এদের মধ্যে বেশির ভাগই বাতিল হয়ে যাওয়া মিগ চালান।
এদিকে পূর্ব লাদাখে আরো ৬০ হাজার সেনা জওয়ান মোতায়েন করেছে ভারত। সেই সঙ্গে মোতায়েন করা হয়েছে ভীষ্ম ট্যাংক, অ্যাপাচে অ্যাটাক হেলিকপ্টার, সুখোই ফাইটার জেট, চিনুক ও রুদ্র হেলিকপ্টার।
চীন সীমান্তে চলছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কড়া নজরদারি। বাদোরিয়া জানিয়েছেন, চীনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতের সময় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি, যেখানে এয়ার স্ট্রাইক চালাবে বিমানবাহিনী।
তবে যেকোনো সময় এয়ার স্ট্রাইকের জন্য বিমানবাহিনী তৈরি। তিনি বলেন, সীমান্তে চীনের আগ্রাসী মনোভাব ও দখলদারির স্বভাব ভারত সুনিপুণ দক্ষতায় রুখে দিয়েছে। ভারতীয় সেনা ও বিমানবাহিনীর কড়া নজরদারিতে এগোতে সাহস পায়নি চীন।
এদিকে সামরিক শক্তিতে চীন, পাকিস্তানকে টেক্কা দিয়ে এগিয়ে যেতে চলেছে ভারত। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি ফিফথ জেন ফাইটার জেটের ইঞ্জিন পেতে চলেছে বিমানবাহিনী।
ইতিমধ্যেই এই ইঞ্জিন তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও।
এই প্রথম ভারতের বিমানবাহিনীর হাতে আসবে ফিফথ জেন ফাইটার জেটের ইঞ্জিন, যা সম্পূর্ণভাবে দেশে তৈরি। ফিফথ জেনারেশন অ্যাডভান্সড মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্রাফটের জন্য যা তৈরি করা হচ্ছে।
ইকোনমিক টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, ডিআরডিওর পরিকল্পনা রাফায়েল জেটের জন্য এই ইঞ্জিন অত্যন্ত কার্যকর প্রমাণিত হবে।