প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের থাবায় বিপর্যস্ত বিশ্ব। কিন্তু জীবন তো আর থেমে থাকে না। তাই সবাইকেই সবার মতো করে কাজ শুরু করতে হয়েছে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাজ না ধরলে জীবন চলবে না যৌনকর্মীদের। তাই কাজ শুরু করেছে তারাও। তবে সবটাই ‘নিউ নর্ম্যাল’- নতুনভাবে কাজ করতে হচ্ছে তাদের।
বলিভিয়ার সেক্স ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের একজন প্রতিনিধি লিলি করটেস বলেন, কোনো কোনো মেয়ের এই কাজ করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। তারা রাস্তায় বেরিয়ে কাজ না করলে তাদের রুজি-রোজগার হবে না। এমনিতে বলিভিয়ায় পতিতাবৃত্তি বৈধ কাজ।
বলিভিয়ার সেক্স ওয়ার্কারদের দেখা যাচ্ছে শরীর ঢাকা এক বিশেষ আবরণে। স্বল্পবসনা হয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে খদ্দের ধরছে। এগুলোকে বলা হচ্ছে ‘বায়োসিকিউরিটি স্যুট’। ৩০ পাতার একটি করোনাভাইরাস সিকিউরিটি ম্যানুয়াল তৈরি করা হয়েছে বলিভিয়ায়। রাতের কর্মীদের জন্য সেসব বিশেষ নির্দেশিকা। তাতেই এ ধরনের স্যুট পরার কথা বলা হয়েছে।
বর্তমানে যৌনকর্মীদের পরতে হচ্ছে আই মাস্ক, ফেস মাস্ক, গ্লাভস ও রেইনকোট। যা পরে তারা ডান্স করবে, সেটিও স্যানিটাইজ করতে হচ্ছে।
শুধু নিজেদের সুরক্ষার জন্যই নয়, কাস্টমারদের সুরক্ষার কথা মাথা রেখেই এমন পোশাক পরতে হচ্ছে তাদের। এরই মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে যে, যৌন সংসর্গে করোনা সংক্রমণের ভয় নেই।
বলিভিয়ায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা মোট ৪৮ হাজার ১৮৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৮০৭ জনের।