মহামারি আকারে ছড়িয়ে যাওয়ার আগে প্রতিদিন গড়ে পাঁচজন নারী নিখোঁজ হয়ে যেত পেরুতে। কিন্তু চলতি বছরের ১৬ মার্চ থেকে গত ৩০ জুন পর্যন্ত সরকারি হিসাবে নয়শ ১৫ জন নারী নিখোঁজ হয়ে গেছেন।
নিখোঁজ নারীদের মধ্যে ৭০ শতাংশ অল্প বয়সী। পেরুর নারী অধিকারকর্মীরা বলছেন, বিশেষ করে কিশোরী ও তরুণীরা নিখোঁজ হচ্ছেন। তবে প্রাপ্ত বয়স্ক নারীরাও সেই তালিকায় আছেন। এটা বেশ উদ্বেগের।
আমাদের জানা দরকার যে, তাদের সঙ্গে ঠিক কী ঘটছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, তাদের বেশিরভাগই আর বেঁচে নেই। আগে দিনে পাঁচজন নিখোঁজ হলেও করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউনের মধ্যে তা বেড়ে আটজন হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে সরকারিভাবে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো কূলকিনারা করতে পারেননি তারা। এদিকে দেশটিতে প্রতি তিনজনে একজন নারী শারীরিক কিংবা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
এই সময়ের মধ্যে ২২৬ জন নারী যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন। অন্যদিকে পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন ২৭ হাজার ৯৯৭ জন নারী। গত বছর দেশটিতে মোট ১২ হাজার নারী ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন। তার মধ্যে ৬০ শতাংশ নারী বলেছেন, তারা পরিবারের লোকের দ্বারা নির্যাতিত।