জরুরি অবস্থা জারি করার পর মানবাধিকার সংগঠনগুলোর উদ্বেগ বেড়েছে। তারা বলছে, বিস্ফোরণের পর সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের দমাতে নিরাপত্তা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে।
আগস্ট লেবাননের রাজধানী বৈরুত বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত ২২০ জন নিহত ও ৬ হাজারের বেশি আহত হয়েছে। বিস্ফোরণের পর আন্দোলনের মুখে দেশটির সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। এরপরও দেশটির প্রেসিডেন্ট ও স্পিকারের পদত্যাগের জন্য আন্দোলন অব্যাহত।
বৃহস্পতিবার দেশটির সংসদ জরুরি অবস্থা অনুমোদন করে।
বৃহস্পতিবার দেশটির সংসদ জরুরি অবস্থার জন্য
বিস্ফোরণের আট দিনের মধ্যে ভোট দিয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে অভিজাতদের দুর্নীতি ও ঋণের বোঝার চাপে লেবাননের অর্থনীতি আগে থেকেই ভঙ্গুর। দেশটিতে ভয়াবহ মুদ্রাস্ফীতির কারণে ডলারের বিপরীতে দেশীয় মুদ্রার মান তলানিতে ঠেকেছে, নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীন এবং ব্যাংক ব্যবস্থাও প্রায় অচল।
জরুরি অবস্থা সেনাবাহিনীকে বাকস্বাধীনতা, সমাবেশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বন্ধসহ বাড়িতে প্রবেশ করে যে কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতারে অনুমতি দেয়; যা নিরাপত্তার হুমকি বলে বিবেচিত হয়।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও বিভিন্ন সংগঠনগুলো বলছে, সামরিক আদালতে বিচারগুলো স্বাভাবিক বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে খাপ খায় না।
বিস্ফোরণে আর্থিক অংকে বৈরুতের ক্ষয়ক্ষতি এক হাজার থেকে দেড় হাজার কোটি মার্কিন ডলার। নগরীর পুনর্গঠনেও কয়েক বছর লেগে যাবে।