নতুন মানচিত্র নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সাবেক স্ত্রী। গত মঙ্গলবার নতুন একটি রাজনৈতিক মানচিত্র আনুষ্ঠানিকভাবে ইমরান খান প্রকাশ করে। তাতে জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখের পাশাপাশি গুজরাটের জুনাগঢ়কেও পাকিস্তানের নতুন রাজনৈতিক ম্যাপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
পাকিস্তান কেবল কাশ্মীরেই থেমে গেল কেন! … আমি তো এর সঙ্গে দিল্লিও চেয়েছিলাম। ইমরান খান দাবি করেন, পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়েছে নতুন ম্যাপে। তা মাথায় রেখেই এই কটাক্ষ করেছেন রেহম।
২০১৫ সালে ইমরান খানের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সাংবাদিক রেহম খানের। কিন্তু, বছর না ঘুরতেই বিচ্ছেদের ঘণ্টা বাজে। ওই বছরের ৩০ অক্টোবর রেহমের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন স্বয়ং ইমরান খান।
বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে রেহম পরে জানান, মানুষ হিসেবে ইমরান আর তিনি দু’জন সম্পূর্ণ ভিন্ন মেরুর। তিনি কথা বলতে ভালোবাসেন, গল্প করতে ভালোবাসেন আর ইমরান সম্পূর্ণ উল্টো।
একান্ত মুহূর্তেও কোনো সিনেমা নিয়ে কথা বলা যেত না, পর্দার রং নিয়েও কথা বলা যেত না। শুধু রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কথা বলা যেত। ইমরানের পরিবার সবসময় চেয়েছে, তিনি শুধু রান্না আর ঘর-সংসার নিয়েই থাকুন। বাইরে গিয়ে তার কাজ করাও পছন্দ ছিল না খান পরিবারের। পেশওয়ারের পথশিশুদের নিয়ে কাজ করাও তাদের পছন্দ ছিল না।
ইমরান খান বলেন, আমরা পাকিস্তানের নতুন ম্যাপ বিশ্বের সামনে এনেছি। পাকিস্তানের মন্ত্রীসভা ছাড়াও বিরোধী দল এমনকি কাশ্মীরি নেতৃত্বেরও এতে সমর্থন রয়েছে। নতুন মানচিত্র পাকিস্তানের মানুষের আশা ও বিশ্বাসকে সমর্থন করে।
পাকিস্তানের সরকারি মানচিত্র হিসেবে উল্লেখ করে ইমরান খান বলেন, কাশ্মীর ও পাকিস্তানের মানুষের অসম্পূর্ণ ইচ্ছা সম্পূর্ণ করবে এই মানচিত্র। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে ভারত গত বছরের ৫ আগস্ট যে অবৈধ পদক্ষেপ নিয়েছে, পাকিস্তানের নতুন মানচিত্র তা বাতিল করে দেয়।