সার্কিট ব্রেকার তুলে নেয়ার দ্বিতীয় ধাপে ১০ দিনে সিঙ্গাপুরে কমিউনিটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৬২ জনে দাঁড়িয়েছে। আর ডরমেটরিতে অবস্থানকারী অভিবাসীকর্মী আক্রান্ত হয়েছে ২০৪৬ জন। কমিউনিটি নতুন আক্রান্তের সংখ্যা আগের সপ্তাহে গড়ে প্রতিদিন চারজন থেকে গত সপ্তাহে প্রতিদিন সাতজনে বেড়েছে।
আজ স্ট্রেইট টাইমসের এক সংবাদে বলা হয়েছে, ‘সিঙ্গাপুরের অর্থনীতি পুনরায় চালু করার দ্বিতীয় ধাপের ১২ দিনের মধ্যে লোকাল কমিউনিটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে উদ্বেগ আরও বাড়বে’।
শিগগিরই সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। ধীরে ধীরে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন দর্শনীয়স্থানগুলো খুলে দেওয়া হচ্ছে। তবে কমিউনিটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বিশেষজ্ঞদের চিন্তিত করেছে।
টিও বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী মহামারি পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। অবশ্যই কিছু দেশের পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে তারা প্রথমবারের মতো সংক্রমণের যথাযথভাবে সংযোজন করার আগেই লকডাউন তুলছে। কমিউনিটি নতুন আক্রান্তের সংখ্যা আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে চারজন থেকে গত সপ্তাহে প্রতিদিন সাতজনে বেড়েছে’।
সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাউসুই হক স্কুলের ডিন প্রফেসর টিও ইয়িক ইয়িং বলেছেন, ‘সংকটের মধ্যেই আমাদের সচেতন থাকতে ও সতর্ক অবস্থায় থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে যত বেশি সতর্ক থাকা যাবে তত কম আক্রান্ত হবে। সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে সবাইকে। এখনও প্রাদুর্ভাবের মধ্যে রয়েছে। রিক্স লেভেল অরেঞ্জ রয়েছে। অরেঞ্জ মানে উচ্চতর জনস্বাস্থ্যের প্রভাবসহ একটি রোগের পরিস্থিতি নির্দেশ করে’।
সিঙ্গাপুরে আজকে নতুন করে ২৪৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪৩ হাজার ৯০৭ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। ২৯ জুন ৪৭৭ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এখন পর্যন্ত ৩৭ হাজার ৯৮৫ জন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।
এখন পর্যন্ত সারাবিশ্বে ১০ মিলিয়নেরও বেশি লোক করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। বিশ্বব্যাপী লকডাউন প্রত্যাহার করার সাথে সাথে বহু দেশ এই মহামারির সাথে লড়াই করে চলেছে।
গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়ানো করোনাভাইরাস গোটা বিশ্বকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত ১ কোটির বেশি। মৃতের সংখ্যা ৮ লাখের বেশি। তবে ৫০ লাখ ৬০ হাজারের বেশি রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ।