শুক্রবার প্রায় এক হাজার মিয়ানমার সেনা টেকনাফ সীমান্তে ৩ টি পয়েন্টে টহল দিয়ে উত্তেজনাপূর্ণ রাখাইনে প্রবেশ করে। সেনাদের সন্দেহজনক ওই গতিবিধি সীমান্তে উত্তেজনা তৈরি করা এবং রাখাইনকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা হিসাবে দেখছে ঢাকা।
এ নিয়ে টেকনাফের সীমান্তের কাছে মাছ ধরার ট্রলারে করে মিয়ানমার সেনাদের টহল এবং রাখাইনে সেনা মোতায়েনের ঘটনায় দেশটির রাষ্ট্রদূতকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা। রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মিয়ানমারের দূতকে ডেকে মৌখিক প্রতিবাদ জানানো ছাড়াও একটি প্রতিবাদপত্র ধরিয়ে দেওয়া হয়।
সেনা সমাবেশের কারণে রাখাইনে এখন যেসব রোহিঙ্গা রয়েছেন, তাদের মধ্যে নতুন করে ভীতি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত যে কোন পরিস্থিতি এড়াতেই ঢাকা ওই পদক্ষেপ নিয়েছে।
বিনা উসকানিতে এভাবে সীমান্তের কাছে নতুন করে সেনাসমাবেশে ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে রবিবার বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে আনা হয়। সীমান্তে সেনা মোতায়েন বন্ধ এবং সব ধরণের ভুল–বোঝাবুঝি অবসানে উদ্যোগ নিতে মিয়ানমারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলেছে ঢাকা।