শুক্রবার (০৩ জানুয়ারি) সকালে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কাসেম সোলাইমানিসহ পাঁচ জন নিহত হয়েছেন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনার একটি ভিডিও গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। দ্য টেলিগ্রাফ, ডেইলি মেইল ও তুরস্কের আনাদলু এজেন্সিসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে।
ভিডিওতে কাসেম সোলাইমানির গাড়ি বহরে হামলার পরপরই গাড়িতে দাউ দাউ আগুন জ্বলতে দেখা যাচ্ছে। মার্কিন ড্রোন থেকে একে একে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয় কাসেম সোলাইমানির গাড়ি বহরে।
শুক্রবার হত্যাকাণ্ডের পর পেন্টাগন বলছে, ইরাক ও পুরো অঞ্চলে মার্কিন সেনা ও কূটনীতিকদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করে আসছিলেন সোলাইমানি।
শিয়াদের কয়েকটি সশস্ত্র ইউনিট মিলে দ্য হাশেদ নেটওয়ার্ক গঠিত হয়েছে। তাদের অধিকাংশই তেহরানের ঘনিষ্ঠ। তাদের অবশ্য ইরাকি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে একীভূত করে ফেলা হয়েছে।
আল-কুদসের প্রধান সোলাইমানি ইরাকে প্রতিবেশী ইরানের মূলপ্রতিনিধির কাজ করে আসছিলেন। সরকারবিরোধী বিক্ষোভসহ বিভিন্ন সময়ে তিনি ইরাক সফরে গিয়েছেন।
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানায়, কাসেম সোলাইমানির হত্যার হাত থেকে বিদেশে মার্কিন নাগরিকদের রক্ষায় চূড়ান্ত প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে তারা।
মঙ্গলবার বাদগাদে মার্কিন দূতাবাসে হামলা ও ভাঙচুর চালায় হাশেদ গোষ্ঠী। এর আগে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে কাতায়েব হিজবুল্লাহর ২৫ সেনাকে হত্যা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এছাড়া ইরাকে মার্কিন বাহিনীকে লক্ষ্য করে কয়েক দফা রকেট হামলার ঘটনায় ইরানকে দোষী করে আসছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তখন তিনি বলেছেন, তাদের অবশ্যই বড় খেসারত দিতে হবে। এটা কোনো হুঁশিয়ারি না, হুমকি।
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মার্ক এসপার বলেছেন, ইরান ও দেশটির সমর্থিত বাহিনী আরও হামলা চালাতে পারে বলে তাদের কাছে আভাস রয়েছে। কাজেই নাগরিকদের রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র আরও নিবৃত্তিমূলক হামলা চালাতে পারে।