নিউজিল্যান্ডের সফলতাকে বিশ্বে রোল মডেল হিসাবে দেখা হচ্ছিল। তবে সেই স্বস্তি আর টিকলো না। শেষ রক্ষা হল না। ১০২ দিন পর ফের নিউজিল্যান্ডে থাবা বসাল করোনাভাইরাস।
অকল্যান্ডে ফের মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত চার রোগী শনাক্ত হয়েছে। আর নতুন করে সংক্রমিতের খোঁজ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কালবিলম্ব না করে অকল্যান্ডে সম্পূর্ণ লকডাউনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন।
করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড তখন মারণ ভাইরাস মোকাবেলায় নজিরবিহীন সাফল্য পেয়েছিল ওশেনিয়া মহাদেশর অন্যতম দেশ নিউজিল্যান্ড।
বিশ্বে যখন করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে, তখন টানা ১০২ দিন নিউজিল্যান্ডে করোনা সংক্রমণ ছিল শূন্যের ঘরে। যদিও প্রতিবেশী দেশ অস্ট্রেলিয়ায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ তাণ্ডব চালানোর পরেই দেশবাসীকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জারি করা সতর্কবার্তায় বলা হয়েছিল, এখনো সতর্ক থাকা প্রয়োজন। না হলে ভিয়েতনাম বা অস্ট্রেলিয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
৫০ লাখ জনসংখ্যার দেশ নিউজিল্যান্ড কীভাবে করোনাভাইরাসের মতো প্রাণঘাতী ভাইরাসকে মোকাবেলা করল, গোটা বিশ্বের কাছে তা যখন চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল, তখনই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
অন্যতম বড় শহর অকল্যান্ডে একই পরিবারের চার জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। কীভাবে তারা সংক্রমিত হলেন, তা নিয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেনি নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
পুরো অকল্যান্ডে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন। আজ এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘মারণ ভাইরাসকে হারাতে আমরা ফের ঐক্যবদ্ধভাবে চেষ্টা চালাব। বুধবার সকাল থেকেই দেশে করোনার তৃতীয় বিপদসঙ্কেত জারি হচ্ছে।