ইতালির রোমের ফিউমিসিনো বিমানবন্দরে অবতরণকারী কাতার এয়ারওয়েজের একটি বিমান থেকে ১৫১ বাংলাদেশিকে নামতে দেওয়া হচ্ছে না। এই বাংলাদেশিদের বহনকারী কাতার এয়ারওয়েজের বিমানটি দোহা থেকে ইতালির ফিউমিসিনো বিমানবন্দরে অবতরণের পর বর্তমানে পাঁচ নম্বর টার্মিনালে রয়েছে। আজ বুধবার ইতালির স্থানীয় গণমাধ্যম আইএল মেসেজারোর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে ১৫১ বাংলাদেশিকে নিয়ে ফিরে আসবে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট। একই সঙ্গে ইতালিগামী কোনো যাত্রী আপাতত বহন করবে না বিমান সংস্থাটি।
এর আগে অন্য একটি ফ্লাইটের দুই ডজনের বেশি বাংলাদেশি আরোহীর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর বাংলাদেশের সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয় ইতালি।
কাতার এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ বলেছে, বিমানটি ঢাকা থেকে রোমে আসেনি। যে কারণে বাঙালি যাত্রীদের বিমান থেকে নামতে দেয়া উচিত। কাতার এয়ারওয়েজ ইতালির সরকার এবং ইন্যাকের বিমান পরিবহন সংক্রান্ত সব ধরনের বিধি-বিধান সতর্কতার সঙ্গে অনুসরণ করছে।
ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কাতার এয়ারওয়েজের ওই বিমানের ১৫১ বাংলাদেশি আরোহী ইতালিতে প্রবেশ করতে পারবেন না। এমনকি বিমানবন্দরে বিমানের ভেতর থেকেও তারা নামতে পারবেন না। তবে জরুরি মেডিক্যাল সেবার দরকার হলে বিমান থেকে নামার অনুমতি পাবেন তারা।
ফ্লাইটেই বাংলাদেশি যাত্রীদের রোমের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় দোহায় ফেরত পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে বিমানটিতে থাকা অন্যান্য দেশের ৮০ যাত্রীর নামার অনুমতি মিলেছে। বিমানবন্দরে তাদের করোনার নমুনা পরীক্ষা শেষে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ওই ফ্লাইটেই বাংলাদেশি যাত্রীদের রোমের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় দোহায় ফেরত পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে বিমানটিতে থাকা অন্যান্য দেশের ৮০ যাত্রীর নামার অনুমতি মিলেছে। বিমানবন্দরে তাদের করোনার নমুনা পরীক্ষা শেষে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আরোহীদের মধ্যে বাংলাদেশি একজন নারী অসুস্থতা বোধ করায় স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তা চেয়েছিলেন। কিন্তু ইতালীয় কর্তৃপক্ষ ওই নারীকে দীর্ঘ যাত্রার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন, যা কভিড-১৯ এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় বলে জানিয়ে দেয়।
কিউআর ১৩১ ফ্লাইটটি ফিউমিসিনো বিমানবন্দরে অবতরণের পর বিমান থেকে প্রত্যেকেই নামতে পারবেন না বলে পাইলট ঘোষণা দেয়ার পর সেখানে উত্তেজনা তৈরি হয়। এ ঘোষণার পর বাংলাদেশি যাত্রীরা তীব্র প্রতিবাদ শুরু করেন। একজন নারী অসুস্থ হয়ে পড়েন।
পাকিস্তানি নাগরিক আকাফিম বলেন, ইসলামাবাদ ত্যাগ করার সময় কেউই তার শরীরের তাপমাত্রা মেপে দেখেননি। শুধু ইতালিতেই তার তাপমাত্রা মাপা হয়েছে।