মালয়েশিয়ার উত্তরাঞ্চলের উপকূলে রোহিঙ্গা শরণার্থী বোঝাই একটি নৌকা ডুবে অন্তত ২৬ জন মারা গেছে বলে আশঙ্কা করা হলেও তাদের সবাইকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (২৬ জুলাই) সমুদ্রে ডুবে তাদের মৃত্যু হয়েছিল বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। তবে পরদিন মালয়েশিয়ার কোস্টগার্ড নিশ্চিত করেছে যে, রোহিঙ্গারা জীবিত আছেন এবং তাদেরকে উদ্ধার করা হয়েছে।
মালয়েশিয়ার কোস্টগার্ডের একজন কর্মকর্তা জানান, নৌকাডুবির পর সাঁতরে লাংকাউই দ্বীপের তীরে পৌঁছানোর চেষ্টা করছিলেন তারা। এ সময় তাদের সবার মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হলেও আশপাশের দ্বীপে ঝোপঝাড়ের মধ্যে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় এদের উদ্ধার করা হয়।
ডুবে যাওয়া নৌকাটি থেকে সাঁতরে উপকূলে পৌঁছাতে পারা এক রোহিঙ্গা যুবককে আটক করে মালয়েশিয়ার কোস্ট গার্ড।
কেদাহ ও পেরলিস রাজ্যের কোস্ট গার্ড প্রধান মোহামাদ জাওয়াউই আবদুল্লাহ জানান, সাঁতরে লাংকাউই দ্বীপের তীরে পৌঁছানোর পর ওই রোহিঙ্গা যু্বককে আটক করে মালয় পুলিশ। ২৭ বছর বয়সী এই যুবকের নাম নুর হোসেন।
এই অবৈধ রোহিঙ্গা আরও ২৬ জনের সঙ্গে নৌকা থেকে লাফ দিয়েছিলেন। তবে তিনিই কেবল সাঁতরে নিরাপদে তীরে পৌঁছাতে পেরেছেন।
এ ঘটনা জানার পর অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানে নামে কোস্ট গার্ড। পরদিনই বাকি রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করেন তারা।
রোহিঙ্গারা দ্বীপের ভেতর ঝোপঝাড়ের মধ্যে লুকিয়ে ছিলেন। কর্তৃপক্ষ এসব রোহিঙ্গাকে আটক করেছে। এদের মধ্য থেকে দুইজন রোহিঙ্গা অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে তারাই এই মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত।
রোহিঙ্গা শরণার্থী বহনকারী নৌকাটি কেন ডুবে গিয়েছিল বা সেটি উদ্ধার করা গেছে কিনা, সে সম্পর্কে কিছু জানায়নি কর্তৃপক্ষ। এই রোহিঙ্গা শরণার্থীরা কোথা থেকে মালয়েশিয়ার উপকূল পর্যন্ত গিয়েছিলেন, সেটি এখনো জানানো হয়নি।
বাংলাদেশের কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গাদের অনেকেই অবৈধভাবে, ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করছেন – এমন খবর এর আগেও পাওয়া গেছে।
এপ্রিল মাসে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা বোঝাই আরেকটি ট্রলার উদ্ধার হয়, যে নৌকাটি প্রায় দুই মাস সমুদ্রে ভেসে ছিল বলে খবর প্রকাশিত হয়েছিল। ওই নৌকায় থাকা রোহিঙ্গারাও মালয়েশিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করছিল বলে বলা হয়েছিল।
এপ্রিলের শুরুতে দুই শো’রও বেশি মানুষ নিয়ে মালয়েশিয়ার উপকূল থেকে রোহিঙ্গা বোঝাই একটি নৌকা আটক করার কথা জানিয়েছিল দেশটির কোস্টগার্ড।