৫ আগস্ট রামমন্দির নির্মাণ শুরু

ভারতে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে করোনা পরিস্থিতি। এর মধ্যেই শুরু হচ্ছে অযোধ্যায় বিতর্কিত রামমন্দির নির্মাণকাজ। তিথি দেখে ঠিক হয়েছে ৫ আগস্ট হবে ভূমিপূজা। আর তাতে হাজির থাকবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর গত ৫ ফেব্রুয়ারি ‘শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’ গঠন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেই ট্রাস্টের সদস্যরা শনিবার বৈঠকের পর আগস্টের শুরুতেই ভূমিপূজার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শনিবারই রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের পক্ষে ৩ অথবা ৫ আগস্ট শুভ দিন রয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে হাজির থাকার আমন্ত্রণ জানানো হয়। সূত্রের খবর, সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে অযোধ্যায় ভূমিপূজা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা দিয়েছেন মোদি।

তবে করোনার কারণে খুব বড় কোনো অনুষ্ঠান হবে না। সামাজিক বিধি-নিষেধ মেনে অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত থাকবেন হাতে গোনা কয়েকজন। জানা গেছে, কয়েকজন সাধুসন্ত, ট্রাস্টের সদস্যদের উপস্থিতিতে অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং ভূমিপূজা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

দীর্ঘ সময় অযোধ্যার বিতর্কিত জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলেছে। কিন্তু সেই সঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ অন্যত্র মন্দির তৈরির কাজ চালিয়ে গেছে। তবে সর্বোচ্চ‌ আদালতের রায়ের পর এবার চূড়ান্ত পর্যায়ের মন্দির নির্মাণ শুরু হবে। সেই অনুষ্ঠানেই হাজির থাকবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এ ছাড়া থাকবেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। হাজির থাকতে পারেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতও।

২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে রামমন্দিরের বিতর্কিত জমি নিয়ে ঐতিহাসিক রায় দেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই রায়ে বলা হয়, বিতর্কিত জমির ওপর মন্দির নির্মাণ হবে। এই কাজের জন্য সরকারকে একটি ট্রাস্ট গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া অযোধ্যায়ই মুসলিমদের মসজিদ নির্মাণের জন্য পাঁচ একর জমির বন্দোবস্ত করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে।

রামমন্দির নির্মাণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের পর কয়েক মাস ধরে ৬৭ একর জায়গা, যার ওপর মূল মন্দিরর নির্মাণ হবে, তা সমান করা হয়েছে। পরে ভূমিপূজার পরে মূল মন্দিরের কাজ শুরু হওয়ার কথা। এরই মধ্যেই নাকি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে রামমন্দিরের একটি নকশা পেশ করা হয়েছে ট্রাস্টের কাছে। সেটি সবার পছন্দ হয়েছে। এই মন্দির তৈরি করতে কত দিন লাগতে পারে, তার খরচ কত হতে পারে সেসব ঠিক করা ও সেই দিকে নজর রাখার জন্যই তৈরি করা হয়েছে এই ট্রাস্ট।