যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে নিজেদের সেনা প্রত্যাহার সিদ্ধান্তে কিছুটা পরিবর্তন আনছে। সাধারণ মানুষ ও কূটনৈতিক নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে দেশটি।
নাম প্রকাশ না করা মার্কিন এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার এমন তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি। যেখানে বলা হয় কমপক্ষে ৬৫০ জন মার্কিন সেনা আরো কিছুদিন আফগানিস্তানে অবস্থান করবে।
এপির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি আফগানিস্তানে তালেবানের সহিংসতা বেড়েছে। ফলে দেশটির নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র। এতে ১১ সেপ্টেম্বরের পরেও ৬৫০ সেনাকে আরো কিছুদিন আফগানিস্তানে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এছাড়া আফগানিস্তানে নিয়োজিত তুর্কি সেনাদের নিরাপত্তার বিষয়টিও মাথায় রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আলোচনা করতে ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার হোয়াইট হাউজে বৈঠকে বসবেন তারা। বৈঠকে বাইডেনের কাছে সাহায্য চাইবেন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি।
চাইতে পারেন আর্থিক সহায়তাও। তবে এই মুহূর্তে আফগানিস্তানকে সাহায্য করতে কতটুকু প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেকে।
চলতি বছরের ১ মে থেকে আফগানিস্তান হতে আনুষ্ঠানিকভাবে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির দাবি এখন পর্যন্ত নিজেদের ৫০ শতাংশ সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে। আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাকি সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
২০১১ সাল থেকে চলা যুদ্ধ-সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৬৪ হাজারের বেশি আফগান সেনা ও পুলিশ নিহত হয়েছেন। প্রাণ হারিয়েছেন ৪০ হাজারের বেশি সাধারণ মানুষ। এছাড়া আরো প্রায় সাড়ে তিন হাজার বিদেশি সেনা নিহত হয়েছেন।