দেশের অন্য সকল দলের চেয়ে আওয়ামী লীগ যোজন যোজন এগিয়ে এতে কোন সন্দেহ নাই। কিন্তু এটাই কি আওয়ামী লীগের কাছে আমাদের প্রত্যাশা!
আজকে এমন পরিস্থিতিতে ঢাকায় নির্বাচন হচ্ছে। এটা কি দেশের মানুষ কে দেখানো যে দেশ করোনা ঝুকিতে নাই? বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করলেন, কিন্তু শপিং মল খুলে রাখলেন। হল বন্ধ করলেন কিন্তু নির্বাচন চালিয়ে গেলেন।
জামায়াতের সহিত দেশে নামায পড়াও চলছে। দলের নেতারা করোনা প্রতিরোধে লিফলেট বিতরণ করছে ৪০০-৫০০ লোকের জনসমাগম করে। এই লোক গুলোকে দেখে যেখানে দেশের মানুষ সতর্ক হবে তারাই যদি এসব জোকারি করে চলে তাহলে এই দুর্যোগ মোকাবেলা কিভাবে সম্ভব?
গ্রামে এসে মানুষের সচেতনতার অবস্থা যা দেখলাম তার দায় শুধুই এই অশিক্ষিত মানুষের? বিদেশ ফেরত “নবাবজাদা” দের দায় সবটা? তারা তো এই আমাদের নেতাদের দেশেই শিখছে….
এই গরীব দেশে আমরা সেই সমস্ত সুবিধা পাবো না যা প্রয়োজন। এটা আমরা মেনেই নিয়েছি। কিন্তু যে ডাক্তাররা আমাদের সেবা দেবেন তাদের সঠিক প্রশিক্ষণ ও ইকুইপমেন্ট কি প্রদান করা হয়েছে! ২ মাস আগে থেকে চিন্তা করলে কি এটা সম্ভব হতো না?
এ বছর ১০০ কিলোমিটার রাস্তা কম হয়ে, ১০০ ব্রিজ কম হয়ে যদি এই ডিজাস্টার ( সামনে যা আসবে মনে হচ্ছে) মোকাবেলা করতে সকল প্রস্তিতে আমরা নিতে পারতাম তবে নিশ্চয়ই আমাদের নেতারাও বড় গলায় বলতে পারতো- ” দেখুন, আমরা পেরেছি।”
এখন তো ভয় হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর পাশে যে চাটুকারের অভয়ারণ্য সেখান থেকে সঠিক পরিস্থিতি সম্পর্কে উনি অবগত কিনা।(আশাকরি উনি আছেন) আমাদের ওই একটিই ভরসার জায়গা।
দেশের যে মানুষ গুলো এখনো পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত নয় তার দায় রাষ্টের। তার দায় সরকারের। আর সরকারের দায় কেউ ই এড়াইতে পারেন না….
যে নেতারা জনসমাগম করছেন – তাদের কেও জরিমানা ও জেলে প্রদান করা উচিত। করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পেলেও এই ভাইরাস গুলো থেকে বোধহয় মুক্তি নাই। এই ভাইরাস গুলোর কথা শুনলে মনে হয় এর চেয়ে করোনাই ভাল….
অনেক কিছু বলতে চাই কিন্তু বলা সম্ভব না।
অন্যদের কথা জানিনা- আমি এবং আমার পরিবারের কেউ যারা সকল নির্বাচনে প্রতিনিধি না দেখে শুধুই মার্কা দেখে নৌকায় ভোট দেন তারা কেউ ই “মন্দের ভালো আওয়ামী লীগ” এই হিসাবে ভোট দেন না….. আমিও দেই নি……
অনেক বেশি সতর্ক হবার সুযোগ ছিলো…. হয়তো এখনো আছে!
মতামতঃ পৃথিবী আলম রাজ