ওয়াজ করা আজহারীকে নিয়ে কেউ জানাবেন সত্যটা? ইউটিউব দেখি এখন ওয়াজ করা হুজুরদের দখলে! ওয়াজেও দেখি নতুন মাত্রা এসেছে। অনেকে বাঙালি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে জেমস, আইয়ুব বাচ্চুকে হার মানিয়ে গানও ধরেন। অনেকে হিন্দি গান করেন। কত ঢং! ধর্মীয় গানও করেন কেউ কেউ।
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য আগের মতো থাকে না, বিনোদন হয়ে ওঠে। কখনো কখনো ওয়াজ মাহফিল থেকে বক্তাকে বিদায়ও করে দেন একদল প্রতিবাদী শ্রোতা। কেউ কেউ পহেলা বৈশাখে পাজামা-পাঞ্জাবি পরাকে ইসলাম বিরোধী বলে সাম্প্রদায়িক বিষ ছড়ান।
আমাদের টকশোর বক্তব্য ইউটিউব থেকে উধাও হলেও এসব থেকে যায়!
মিজানুর রহমান আজহারী নামের একজন দেখি যেখানে যান ঢল নামে মানুষের। তিনি দেখতে সুদর্শন, পোশাকে আধুনিক ফ্যাশন সচেতন। কথা বলেন বাংলায় ইংলিশে ও আরবিতে। তিনি নারী নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কথা বলেন। হিজাব পরলে ইভটিজিং হবে না জোর দিয়ে বলেন! মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে নাকি তারা ওয়াজে যান, ট্যাক্স দেন?
আজহারীকে দেখলে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর কথা মনে পড়ে যায়।
আমাদের তারুণ্যে দেখতাম সাঈদীর ওয়াজের ক্যাসেট বিক্রি হতো। তিনি যেখানে যেতেন ঢল নামতো মানুষের। যে সব তরুণ আয়োজক তারা পরে জামায়াতের নেতা! আর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীও যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের নেতা হন। এমপি হন। এখন যুদ্ধাপরাধ মামলায় আজীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে জেলে।
মিজানুর রহমান আজহারী সম্পর্কে সবাই কি খবর জানেন? তিনি নাকি মিশরে পড়াশোনা করেছেন? মালয়েশিয়া ছিলেন? তার রাজনৈতিক কোনো ব্রাকগ্রাউন্ড কি আছে? তাকে পড়াশোনা করিয়ে কারা কোন লাইনে তৈরি করেছেন বা নিজে কোন লক্ষ্য নিয়ে এসেছেন জানেন? কোন এলাকার কি তার পরিবার ও নিজের ব্যাকগ্রাউন্ড? তার পক্ষে বিপক্ষে অনেকে ওয়াজ করেন দেখছি, কারণ কি? কি কারণে বিতর্ক? তার ও সাঈদীর বক্তব্যে কি মিল আছে? জানেন কেউ? জানাতে পারবেন? আমার কেবল জানার কৌতুহল।
লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।