কোনো সমাজই একবারে অধঃপ’তনে যায় না বরং সমাজ একটু একটু করে ধীরে ধীরে সইয়ে নিয়ে ক্ষয়ে যেতে থাকে ভেতরে- বাইরে।
এ প্রসঙ্গের অবতারণা করলাম এ কারণে যে, ভেবে দেখেছেন কি গাজীপুরের মফস্বলি কিশোরের দল বান্ধবীর জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছার বদলে, তাকে ধ’র্ষণ শেষে জান্তব উল্লাসের ভিডিও আপলোডের সংষ্কৃতি-সাহস-মানসিকতা কোথায় পেলো? এরা কি ভিনগ্রহ থেকে আগত প্রাণী? নাকি এরা আপনার-আমারই সাংষ্কৃতিক উত্তরাধিকারের লিগেসী?
আজকের এই বাংলাদেশে ” বন্ধু ” শব্দের আশ্রয়-প্রশয়ের আড়ালে যে কোনো বয়সী, যে কোনো নরনারী বহু আপত্তিকর কথাই বৈধতার সাথে বলে যেতে পারে। আমরা বহুল কৌতুকে তা হেসে উড়িয়ে দিই, ” আরে, বন্ধু যখন, বলতেই পারে। ” কাজের বেলায়ও তাই। জি, ভদ্রমহিলা এবং ভদ্রলোকগন, আপনাদের এই সীমারেখাহীন উদারতার থেকে আর একটু এগিয়ে গেছে আপনাদেরই পরবর্তী প্রজন্ম গাজীপুরের ঘটনায়। তারা এ মাটিরই উত্তরাধিকার।
স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুত্ব হলে তো কথাই নেই, সামান্য ফেসবুকে রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে পাতানো বন্ধুত্বের দাবিতেই, যে নিঃসীম সীমানা ল’ঙ্ঘনের চর্চা আমরা করতে চাই, তারই ফল ফলতে শুরু করেছে মাত্র। খেলারাম হয়ে চুপচাপ এই অতি আধুনিকতার ফলাফল দেখে যান।
রোপন করবেন বৃ’ষবৃক্ষ, আর তা থেকে ফল আশা করবেন বেহেশতী মেওয়া সদৃশ, তা তো হয়না হে জ্ঞানী বঙ্গ মানবকুল!
সমিত জামান,
সহ-সম্পাদক সাম্প্রতিক ডট কম ডট বিডি