যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে খ্যাতি পেয়েছেন বাংলাদেশি চিকিৎসক ডা. ফেরদৌস খন্দকার। তিনি নিউইয়র্কের মাউন্ট সাইনাই হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। নিউইয়র্কে চিকিৎসা ছাড়াও তিনি যুক্ত ছিলেন ত্রাণ বিতরণে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত চালিয়েছেন সচেতনতামূলক কার্যক্রম। পেয়েছেন ব্যাপক প্রশংসা। ড. ফেরসৌস করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে শনিবার দেশে ফিরেছেন।
জানা গেছে ডা. ফেরদৌস খন্দকারের মামার নাম মোসতাক আহমেদ এটা ঠিক। তবে এই মোসতাক বঙ্গবন্ধু খুনী মোশতাক নয়। ফেরদৌস খন্দকারের মামা এখনও বেঁচে আছেন এবং পরিবার নিয়ে আমেরিকার বোস্টন শহরের বসবাস করছেন।
টেলিফোনে ডা. ফেরদৌসের মামা মোসতাক আহমেদ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টা শুনে হেসে উঠেন। তিনি বলেন, ডা. ফেরদৌস খন্দকারের মা আনোয়ারা বেগম তাদের ছয় ভাইয়ের একমাত্র বোন। ভাইদের মধ্যে তিনি পঞ্চম। তার বাবার নাম আব্দুল আলী (ফেরদৌসের নানা)। ১৯৮৪ সাল থেকে মোসতাক আহমেদ স্থায়ীভাবে আমেরিকায় বসবাস করছেন এবং বর্তমানে ম্যাসাচুসেটস রাজ্যের বোস্টন শহরে ব্যবসা করেন। তিনি জানান, তার এক ভাই মুক্তিযোদ্ধা। বঙ্গবন্ধুর খুনী খন্দকার মোসতাক বা অন্য কোনো খুনীদের সাথে পারিবারিক বা আত্মীয়তার সূত্রেও কোনো প্রকার সম্পর্ক নেই এবং অতীয়তেও ছিল না। যারা এসব গুজব রটাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনেরও দাবি জানান তিনি।
জানা গেছে ডা. ফেরদৌস খন্দকারের মামার নাম মোসতাক আহমেদ এটা ঠিক। তবে এই মোসতাক বঙ্গবন্ধু খুনী মোশতাক নয়। ফেরদৌস খন্দকারের মামা এখনও বেঁচে আছেন এবং পরিবার নিয়ে আমেরিকার বোস্টন শহরের বসবাস করছেন। এই মোসতাকের পাসপোর্টের কপিও নিউ ইয়র্ক মেইলের কাছে আছে।
টেলিফোনে ডা. ফেরদৌসের মামা মোসতাক আহমেদ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টা শুনে হেসে উঠেন। তিনি নিউ ইয়র্ক মেইলকে বলেন, ডা. ফেরদৌস খন্দকারের মা আনোয়ারা বেগম তাদের ছয় ভাইয়ের একমাত্র বোন। ভাইদের মধ্যে তিনি পঞ্চম। তার বাবার নাম আব্দুল আলী (ফেরদৌসের নানা)। ১৯৮৪ সাল থেকে মোসতাক আহমেদ স্থায়ীভাবে আমেরিকায় বসবাস করছেন এবং বর্তমানে ম্যাসাচুসেটস রাজ্যের বোস্টন শহরে ব্যবসা করেন। তিনি জানান, তার এক ভাই মুক্তিযোদ্ধা। বঙ্গবন্ধুর খুনী খন্দকার মোসতাক বা অন্য কোনো খুনীদের সাথে পারিবারিক বা আত্মীয়তার সূত্রেও কোনো প্রকার সম্পর্ক নেই এবং অতীয়তেও ছিল না। যারা এসব গুজব রটাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনেরও দাবি জানান তিনি।
তবে কি একটা মানুষের বর্নাঢ্য ক্যারিয়ার নিয়ে হুজুগে বিরুদ্ধে লিখাটা অনেক বড় অন্যায় কারন আজকে ১৭ কোটি মানুষের কাছে সে খন্দকার খুনি মোস্তাকের ভাগিনা হিসেবে ঘৃনার পাত্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করলো হয়তোবা কয়েক দিনের মধ্যেই ঘটনার তদন্ত হয়ে সত্য/ মিথ্যা জিনিসটা বের হয়ে আসবে তখন কিন্তু এত ভাইরাল হবেনা কিংবা ফেরদৌস জনে জনে ব্যাখ্যাও দিতে পারবেনা।
তার সময়কার ছাত্রলীগের নেতাদের ফোন করলে সবাই বিষয়টা নিয়ে খুব বিমর্ষ এবং কেউ কেউ অসহায়ের মতো বললেন কেনো কিছু লিখছোনা? তারা জানায়, মোস্তাক নামে তার মামা আছেন খবর সঠিক তবে সেই মামা থাকেন বোস্টনে এবং তিনি একজন ফার্মাসিষ্ট।
ডা. ফেরদৌস খন্দকার এর এক বন্ধু ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে জানান, “চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে আমার রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ৩২তম ব্যাচের ডা: ফেরদৌস খন্দকার রাজপথে অনেক মিছিল মিটিংয়ের কন্ঠস্বর। ৯০ থেকে ৯৬ পর্যন্ত চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে ছাত্রলীগের কর্মী থাকা সাধারণ ব্যপার ছিলো না। ১৯৯৩ সালে ট্রিপল মার্ডারের পর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উপর কী পাশবিক অত্যাচার চলেছিলো অন্য চট্টগ্রামের বাইরের কেউ আন্দাজ করতে পারবে না। ক্যম্পাস থেকে বিতারিত হয়ে আমরা নেতা কর্মীরা চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন অলিতে গলিতে মেস ভাড়া করে থাকতে শুরু করলাম। আমরা দামপাড়ায় ছাত্রলীগের অনেক নেতা কর্মী কয়েকটি বাড়ীভাড়া করে থেকেছি। তখন আমাদের সাথে এই ডাক্তার ফেরদসৌস খন্দকারও একটি ছিলো। সে ছিলো আমার রুমমেট। আমাদের সাথে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের অনেক নেতা কর্মী থাকতো।
মনে আছে এক রাতে পুলিশ বাড়ি রেইড দিয়ে ফেরদৌস খন্দকারের রুম থেকে ট্রিপল মার্ডারের মিথা অভিযোগে আমাদের বন্ধু ডাঃ শামীম আহমেদ (বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজের রেডিওলোজী বিভাগের অধ্যাপক) গ্রেফতার করে (পরবর্তীতে বেকসুর খালাস)। আমার প্রশ্ন সে যদি ছাত্রলীগ না হতো অথবা ঐ সময়ে আওয়ামীবিরোধী কারো তেমন আত্মীয় হতো তাহলে খুব ভালোভাবেই ক্যাম্পাসে আরামে থাকতে পারতো না?
আর মামলার আসামী ছাত্রলীগের কর্মীদের সাথে একই বাড়ীতে থাকতো? আজ ফেরদৌসের বিরুদ্ধে আজ এইসব মিথ্যা প্রপাগান্ডা চালানো হচ্ছে কারণ সে মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করছে। আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই কারণ আমি কারো জন্য কিছুই করছি না।”
তিনি রেফারেন্স হিসেবে ১৯৯০-৯৬ সালের ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট/ সেক্রেটারি এবং তাঁর সিনিয়র ব্যাচের প্রেসিডেন্ট/সেক্রেটারির নাম(নাজমুল ইসলাম মুন্না, আহসান হাবিব, খন্দকার আহমেদুল হক, মোঃ ফয়সাল, ইকবাল চৌধুরী, রবিউল করিম, সুবাশ দে, রেজাউল হোসেন) দেন যাদের কাছে ডা. ফেরদৌস খন্দকার এর ছাত্রজীবনের রাজনীতির ইতিহাস জানতে বলেন।