ভারতের এক করোনা ভাইরাসের রোগীকে আইসোলেশানে যেতে বললে উনি ঘারত্যাড়ামি করে রিফিউজ করে। কোনোভাবেই মানানো যায়নি উনাকে আইসোলেশানে যেতে। উনি এই পর্যন্ত ওয়ার্ল্ড এর সবচেয়ে বেশি করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে। ওই ঘারত্যাড়া ব্যক্তি থেকে ৪০,০০০+ মানুষের করোনা হয়েছে। লোকটি জার্মান ও ইটালি থেকে ঘুরে ইন্ডিয়াতে এসেছে। ইন্ডিয়াতে উনি আসার পর উনাকে কোয়েরেন্টাইনে থাকতে বললে উনি কোয়েরেন্টাইনে থাকেনি।
পরে একটি অণুষ্ঠানে গিয়ে করোনা ছড়িয়ে দেয় সবার মাঝে। উনি মারা গেছে ওই অনুষ্ঠানের পরেই। কিন্ত নিজে মরে করোনা ভাইরাস দিয়ে গেছে ৪০,০০০+ মানুষের দেহে। লকডাউন করিয়েছে ২০ টা গ্রাম। আর এই ৪০,০০০+ মানুষের মধ্য থেকে অনেক মানুষ মরেছে, অনেকে মৃত্যুর সাথে লড়ছে। লোকটির বয়স ৭০ বছর। বুড়া মানুষের ঘাড় একটু ত্যাড়া থাকে। কিন্ত এই ঘাড়ত্যাড়ামির জন্য আজ গেলো হাজার খানেক প্রান। তাই এমন ঘাড়ত্যাড়া টাইপ বুড়া দেখলে প্রশাসনকে জানান। আপনাদের ঘরে এমন কেউ থাকলে ঘরে বসিয়ে রাখুন। একজনের ত্যাড়ামি, হাজার মানুষের জীবন যাওয়ার কারন! তাই সাবধান!!
আমাদের দেশেও এমন অনেকেই আছেন যারা আবেগ দিয়ে চিন্তা করতে যেয়ে ভুল করছেন। হায়ায়, মৃত্যু, রিজিক আল্লাহর হাতে। কিন্তু হে আল্লাহ রিজিক দান করো বলে বাসায় বসে থাকলে রিজিক চলে আসবে না। তখন স্রষ্টাকে দুষলেও লাভ নাই। কারন স্পষ্ট ভাবেই রিজিকের সন্ধানে বের হতে বলা হয়েছে, অসুস্থ হলে চিকিৎসা নিতে বলা হয়েছে। উট বেধে রেখে এরপর আল্লাহর উপর ভরসা রাখতে বলা হয়েছে। যারা এগুলা বুঝেন না তারা ইসলাম চিনেন না। আবেগ দিয়ে জীবন চলেনা। আর যেহেতু ইসলাম পূর্নাঙ্গ জীবন বিধান তাই এটা মনে কইরেন না যে ইসলাম সব খানে আবেগ দিয়ে চলতে বলছে। বিবেক কাজে লাগান। আল্লাহর দেয়া বুদ্ধি কাজে লাগান।