চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরের সিফড মার্কেট থেকে থাইল্যান্ড সিঙ্গাপুর হয়ে আমেরিকাতে করোনা ভাইরাস। ভারতীয়দের ঘুম ছুটেছে কাজের সূত্রে বহু ভারতীয় থেকেন চীনে আবার চীনের বহু মানুষের এ কর্মস্থল হচ্ছে এ ভারত। আসলে চীনাদের পশু-পাখির মাংসপ্রীতি কাল হয়েছে।
সেখানে অনলাইনে অর্ডার করলে ঘরে পৌঁছে যায় শেয়াল, কুমির, নেকড়ে, সাপ, ইঁদুর, ময়ূর, সজারু, উটের মাংস মোট ১১২ ধরনের প্রানীর মাংস। এই সব বুনো পশুর মাংস থেকেই রো’গ ছড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন সংক্রা’মক যত নতুন রো’গ দেখা দিচ্ছে তার ৭০% আসছে বন্যপ্রানীর মাংস থেকে।
নোভাল করোনা ভাইরাস বলতে এক গোত্রের অনেক গুলো ভাইরাসকে বুঝায় । এর বি’পদ মা’রাত্নক কারন অত্যন্ত ছোঁয়াছে এ ভাইরাস। এর গতি প্রকৃতিও বুঝতে হিমসীম খাচ্ছে চিকিতসকরা কারণ চীনা উপসর্গে দাড়ালে হানা দিচ্ছে এ ভাইরাস। মূলত শ্বাসযন্ত্রের সংক্র’মন নাক সড়সড়, হাঁচি, কাশি, গলাব্যাথা, ক্লান্তি, হাঁপের সমস্যা, মাঝেমসাঝে জ্বর।
এসবের পিছনে করোনা ভাইরাস নাকি সর্দি কাশির অন্য ভাইরাস তা বোঝা যাচ্ছে নাহ বলে অ’তঙ্কের পারদ বাড়ছে বহুগুন। তবে বয়স্কদের ক্ষেত্রে হতে পারে নিউমোনিয়া। বিশেষ করে যাদের হার্টের সমস্যা এবং রো’গ প্রতিরো’ধ ক্ষমতা কম এ ভাইরাস তাদের আক্রমন করে বেশি। মূলত করোনা ভাইরাসের ছয়টি গোত্র চিহ্নিত যেগুলো মানুষের শরীরে সংক্রমন ঘটায়। 229E (আলফা করোনা ভাইরাস) ও NL63 (আলফা করোনা ভাইরাস) ,OC43 (বেটা করোনাভাইরাস), HKU1 (বেটা করোনাভাইরাস)। তবে সবথেকে বিপদ্দজনক হচ্ছে MERS-CoV ও SARS-CoV করোনা ভাইরাস।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন মুখে হাত চাপা না দিয়ে হাঁচি দিলে দ্রুত ছড়ায় এ ভাইরাস । আক্রা’ন্তের শরীর স্পর্শ বা তার সাথে হাত মিলালেও সংক্রা’মন ঘটতে পারে এই ভাইরাস । যে বস্তু বা জাগয়ায় ভাইরাস ছড়িয়ে থাকে, সেখানে হাত দেওয়ার পর নাক, চোখ, অথবা মুখে হাত দিলেই সংক্র’মন হতে । এ ভাইরাসের কোনো ভ্যাকসিন নেই তাই প্রাথমিক কিছু সতর্কতা মেনে চলতেই হবে ।
সাবান ও গরম জল দিয়ে হাত ধুতে হবে। চোখ, নাক, মুখ থেকে হাত ও আঙুল দূরে রাখতে হবে। আক্রা’ন্তের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। করোনা ভাইরাসে আক্রা’ন্ত হলে কয়েকটি পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরাঃ প্রচুর জল খেতে হবে, কঠোর পরিশ্রম এড়িয়ে চলতে হবে, যতেষ্ট বিশ্রামের প্রয়োজন, ধূ’মপান বর্জ’ন, ধূমায়িত এলাকা এড়িয়ে যেতে হবে।.
লেখক মোঃ মিজানুর রহমান
ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ,
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।