বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল গোপালগঞ্জের নিভৃত গ্রাম টুঙ্গীপাড়ায় জন্ম নেওয়া শেখ মুজিবুর রহমান একদিন বাংলাদেশকে স্বাধীনতা এনে দেন। মানুষের মুক্তির জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন তিনি। বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের কথা বলেছেন তিনি। বিশ্বের এই মহান নেতা শুধু বাংলার মানুষের বন্ধুই ছিলেন না তিনি ছিলেন বিশ্বনেতা।
বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও মীরসরাই উপজেলা শাখার যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ হাসান এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু একটি নাম নয়, একটি ইতিহাস। আজ হতে শতবর্ষ পূর্বে বাঘাইর নদীর কোল ঘেঁষা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করে, মায়ের কোলে যে শিশু প্রথম চোখ মেলেছিল, পরবর্তীকালে সে শিশুর পরিচিতি দেশের গণ্ডিরেখা অতিক্রম করে পরিব্যপ্ত হয়েছে বিশ্বব্যাপী। মা-বাবার আদরের “খোকা”, রাজনৈতিক সহযোদ্ধাদের সুপ্রিয় “মুজিব ভাই”, সমসাময়িকদের প্রিয় “শেখ সাহেব” থেকে মুক্তিকামী বাঙালির ভালোবাসায় অভিষিক্ত হয়ে অর্জন করেন “বঙ্গবন্ধু” উপাধি এবং শেষতঃ কায়েমীস্বার্থবাদীদের প্রধানমন্ত্রীত্বের প্রস্তাব ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে হয়ে ওঠেন জাতির অবিসংবাদিত নেতা-“জাতির পিতা”, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। যে জন্য সতেরোই মার্চ আমাদের জাতীয় জীবনে এক ঐতিহাসিক দিবস।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু জীবনব্যাপী একটিই সাধনা করেছেন, বাঙালির মুক্তির জন্য নিজকে উৎসর্গ করা। ভাষাভিত্তিক অসাম্প্রদায়িক বাঙালি জাতীয়তাবাদের শ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ধাপে ধাপে প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ৫২-এর মহান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৬৬-এর ছয় দফা তথা স্বাধিকার আন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০-এর নির্বাচনে ভূমিধ্বস বিজয় অর্জন এবং পরিশেষে ৭১-এ স্বাধীনতার ডাক দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেন। জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের ঐতিহাসিক এই পর্বগুলো সংঘটনে তাঁকে জীবনের প্রায় তেরোটি বছর কারান্তরালে কাটাতে হয়েছে।
বাংলা ও বাঙালির ভাগ্য পরিবর্তনে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে সৃষ্টিকর্তা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন তাঁর জৈষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা। যিনি আজ বাংলা ও বাঙালিকে নতুন ভাবে বিশ্বের কাছে উন্নয়ন সমৃদ্ধির এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্তে পৌঁছে দিয়েছেন। তাই তিনি আজ বিশ্ব নেত্রী,বাংলার দেশরত্ন। এক মমতাময়ী মা,অসীম সাহসী এবং দৃঢ়চেতা মানবী।
আজকের দিনে বিধাতার নিকট কায়মনচিত্তে প্রার্থনা নিশ্চয়ই তিনি জাতির পিতাসহ ১৫ আগষ্টের সকল শহীদগণকে জান্নাতে ঠাঁই দিবেন। সেই সাথে বাঙ্গালির প্রত্যাশা-প্রাপ্তির শেষ ঠিকানা দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে যেন দীর্ঘায়ু দান করেন।