বস্তুনিষ্ঠতা এবং নিরপেক্ষতা এক জিনিস নয়। আমি নিজে বস্তুনিষ্ঠ হতে চাই এবং অন্যের কাছেও বস্তুনিষ্ঠতা আশা করি। আমি মনেকরি ‘আমি’ নিজে ‘বস্তুনিষ্ঠ’ এবং ‘সত্যনিষ্ঠ’ ও ‘তথ্যনিষ্ঠ’।
তবে, নিরপেক্ষতা আশা করেন না আমার কাছে। কারন আমি নিরপেক্ষ নই, তথাকথিত নিরপেক্ষ হতেও চাইনা। একজন বোধ-বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ চিন্তা ও আদর্শে নিরপেক্ষ হন না। আমারও একটা পক্ষ আছে। আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের, জয় বাংলার পক্ষের, অসাম্প্রদায়িকতার পক্ষের।
আজকের বাস্তবতায় আমি বাংলাদেশের উন্নয়নের পক্ষের এবং শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বের পক্ষের। আমার সুস্পষ্ট একটি পক্ষ আছে, যা শত প্রতিকূলতার মধ্যেও বাংলাদেশের এগিয়ে য়াওয়ার পক্ষে। আমি, জামাতি-মৌলবাদী-রাজাকার গোষ্ঠীর এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকদের বিপক্ষে। কাজেই আমার সুস্পষ্ট একটি পক্ষ আছে, আমি নিরপেক্ষ নই।
নিরপেক্ষতা কি জানেন? নিরপেক্ষতা একটা ভন্ডামি। সত্যকে আড়াল করে ব্যালেন্স করে কথা বললেই নিরপেক্ষ হয় নাকি? আমি সত্য কথা বলি। সত্য, সত্যই, সত্য নিরপেক্ষ হয় না।
তবে রাষ্ট্রকে এবং রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানকে নিরপেক্ষ হতে হবে। রাষ্ট্র বা প্রতিষ্ঠানের নিরপেক্ষতা আর ব্যক্তির নিরপেক্ষতা দুইটা দুই জিনিস। ব্যক্তির নিরপেক্ষতা একটা ভন্ডামি। আসলে কেউ নিরপেক্ষ নয়। অনেকে সত্যকে আড়াল করে, ব্যালেন্স করে কথা বলে, নিরপেক্ষতার ভান করে। তথাকথিত নিরপেক্ষ হতে হলে সত্য-মিথ্যা মিশিয়ে কথা বলতে হয়। বাংলাদেশের আজকের বাস্তবতায় নিরপেক্ষতা তথা সুশীলতার একমাত্র সংজ্ঞা হচ্ছে সারাক্ষণ আওয়ামী লীগকে গালাগাল করা এবং তারা কোনো ভালো কাজ করলেও তার মধ্যে হাজারটা ছিদ্র খুঁজে বের করা। এই কাজটা করতে না পারলে আপনি নিরপেক্ষ এবং সুশীল হতে পারবেন না।
আমার একটাই চাওয়া। বাংলাদেশটা যেন কোনোভাবেই, নামে বা বেনামে স্বাধীনতা বিরোধীদের হাতে চলে না যায়। অতীতে, স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করে এবং ৭২-৭৫ সময়কাল নিয়ে চরম মিথ্যাচার করে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী জালিয়াত চক্র দিনের পর দিন বাংলাদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে। আজও নতুন প্রজন্মের একটা অংশ রাজনীতি এবং দেশ নিয়ে বিভ্রান্ত।
এবং এই বিভ্রান্তি সুকৌশলে এখনও সৃষ্টি করেই চলেছে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী চক্র। এরা কখনও নামে, কখনও বেনামে আবার কখনও ছদ্মবেশে খুবই চাতুর্যের সাথে তাদের এই মিথ্যাগুলোকে সমাজে ‘সত্য’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। আমার লড়াইয়ের উদ্দেশ্য স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে জনগণকে সতর্ক ও সচেতন করা এবং স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের মুখোশ উন্মোচন করা। কাজেই, আমি বাংলাদেশ পক্ষে, আমিই দেশের পক্ষে।