একদিকে BJP, RSS, শিবসেনা এবং বজরংদল
আর আরেকদিকে রয়েছে বিএনপি, জামাত-শিবির এবং হেফাজত।
প্রাতিষ্ঠানিক মৌ’লবাদে এবং ধর্মীয় উ’গ্রপন্থী জি’ঘাংসায় কেউ কারও থেকে কম নয়, বরং তা চরিতার্থ করতে এরা স্বজাতিকেও ধ্বং’সের দিকে ঠেলে দিতে দু’বার চিন্তা করে না। বেনিয়াত্বত্ত্বে খোদ বু’র্জোয়াঁ পরিবারকে ঈ’র্ষান্বিত করতে পারে এমন তাদের যার যার সলিড ব্যবসায়ীক বলয়। কি নেই!!! সব আছে, শুধু মানবিক গুণগত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলি হারিয়ে জা’নোয়ারের মতো পা’শবিকতা-কে ঠায় করে দিতে হয়েছে।
১৯৪৩-৪৭ সালে “অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা”-র প্রেসিডেন্ট পদে ব্যারিস্টার শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি থাকলেও পরবর্তীতে ১৯৫১সালে “ভারতীয় জনসংঘ”-এর প্রতিষ্ঠা করেন। আর অপরদিকে মওলানা আবু-আলা মৌ’দুদী ১৯৩৯ সালে (ওয়াকফ) ইসলামীক ফাউন্ডেশন এর তৎকালীন আদি নাম, “দার-উল-ইসলাম”-এর সামান্য দলীয় সদস্যপদ নিয়ে ছিলেন। পরে সেখানে কিছু ব্যপার ঘটায়, তা বাদ দিয়ে ১৯৪১ সালে নিজেই “জামাত-ই-ই’সলামী” নামক নব রাজনৈতিক দল গঠন করে।
ব্রিটিশদের রেখে যাওয়া ধর্মতা’ন্ত্রিক এদুটি বৃষবৃক্ষের বীজ, আজ এতবছরে কাঙ্খিত ভৌগলিক অবস্থান, অনুকূল আবহাওয়া ও পরিস্থিতি পেয়ে পূর্ণ কলেবরে বাগানসহ নিজেদের প্রসারিত করেছে শুধু।
আমি আর তৎকালীন “মু’সলিম লীগ” -এর নাম করলাম না। এ দলটি অতি প্রাচীনতায় গুরুত্ব হারিয়েছে।
কংগ্রেস ভারত স্বাধীনতায় দলের উচ্চ মার্গীয় অবদান থাকলেও, নেতৃত্বের পেটি স্বার্থের লোভে লক্ষ্যচ্যুতি ঘটে।
যার ফলে দিনে দিনে কক্ষচ্যুত হয়ে পরে, প্রাচীনদল কংগ্রেস। এমন করুন অবস্থা যে, ক্ষমতায় ফিরে আসার পথও দিনদিন প্রায় বিলীন হতে চলেছে।
কংগ্রেসের মতো আজ বাংলাদেশের স্বাধীনতা আ’ন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী বড়দল আওয়ামী লীগেরও একই অবস্থা প্রায়, যদি এখনি ইতিহাস থেকে দ্রুত শিক্ষা নিয়ে ভুল/অন্যায় শুধরে না চলে তাহলে তারও করুণ পরিণতি অপেক্ষমাণ।
এখানে কমিউনিস্ট পার্টির কথা টানছিনা তাদের অতীত খুবই উজ্জ্বল হলেও তাদের ভবিষ্যত নিজেদের হঠকারিতার জন্যে অন্ধকার। যাক এসব কথা, লেখার পরিমাণ বাড়াবে কিন্তু তাতে করে উল্লেখযোগ্য কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবেননা।
পরিশেষেঃ আমরা যু’দ্ধ,দা’ঙ্গা বা রায়টের মাঝে জন্ম নেয়া র’ক্তবীজ, তা সে যে পক্ষেতেই থাকি।
তাই বারে বারে ধ্বং’সের আগুনে জ্বলে উঠাই আমাদের পরিণতি!
লেখকঃ তাশরিক মাহমুদ শিকদার, ব্লগার, কলামিস্ট