আপনি কি জানেন মালদ্বীপ নামক ছোট একটা দ্বীপ রাষ্ট্রে কতো হাজার বাংলাদেশি আছে? বাংলাদেশী আছে বড় কথা নয়, কথা হলো তারা মালিকানাধীন বা কোম্পানির আওতাভুক্ত কিনা?
মালদ্বীপ শহরে ৫০ হাজারেরও বেশি অবৈধ বাংলাদেশী বসবাস করে। করোনা ভাইরাসের প্রভাবে লক ডাউনে এসব অবৈধ অভিবাসীকে নিশ্চয়ই মালদ্বীপ সরকার বসিয়ে বসিয়ে খাওয়াবে না। বাংলাদেশের বৈদেশিক অর্থের বড় একটা চাকা এই মালদ্বীপ থেকে ঘুরে। মালদ্বীপ দেশটা সম্পূর্ণ ফরেনারের উপর নির্ভরশীল। তাদের নিজস্ব কোন উৎপাদন নেই, সবকিছু তারা বাহির রাষ্ট্র থেকে আমদানি করে।
সুতরাং এই পরিস্থিতিতে তারা তাদের দেশের নাগরিকের সুযোগ সুবিধা রেখে আমাদের দেশের অবৈধ লোকের সুযোগ সুবিধা দেখবেনা। যেখানে তারা খাওয়ার পানিসহ সকল সামগ্রী বাহির রাষ্ট্র থেকে আমদানি করে। যদি এ মুহুর্তে মালদ্বীপ সরকার সিদ্ধান্ত নেয় মালদ্বীপে কোন অবৈধ লোক থাকবেনা, তখন এই ৫০ হাজার+ লোকগুলোকে নিশ্চয়ই দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশে ফিরিয়ে এনে ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে। এই ৫০ হাজার+ মানুষ ১৪ দিনে নিশ্চয়ই ১০০ টনের বেশী খাদ্যসামগ্রী ভোগ করবে।
বাংলাদেশ সরকার এসব রেমিটেন্স যোদ্ধাদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই মালদ্বীপ প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য খাদ্য সহায়তা পাঠিয়েছে। যারা ফেসবুকে “নিজের পাজামার ফিতা খুলে অন্যের মাস্ক বাঁধা” বলে এ মানবিক উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন তাদের নিকট প্রশ্ন রইলো “আপনার নিজের পাজামার ফিতা ঠিক আছে তো?