সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত রাজধানীর গুলশান, বনানী ও বারিধারা ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) তিনটি পৃথক পৃথক অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সড়ক ও ফুটপাতে অবৈধভাবে নির্মাণসামগ্রী রাখায় তাৎক্ষণিক নিলামে সেগুলো ২১ লক্ষাধিক টাকা বিক্রয় করা হয়।
ডিএনসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবদুল হামিদ মিয়া গুলশানে মোবাইল কোর্ট ও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।
শুরুতে নগর ভবনের সামনে ফুটপাতে অবৈধভাবে রাখা বালি জব্দ করা হয় এবং মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ডিএনসিসির এক ঠিকাদারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এরপরে গুলশান ৯০ নম্বর সড়কে অবৈধভাবে রাখা রড, ইট, বাঁশ ইত্যাদি তাৎক্ষণিকভাবে নিলামে ১৭ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা বিক্রয় করা হয়।
অঞ্চল-৭ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ বনানী ও কামাল আতাতুর্ক এভিনিউতে অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় বনানীতে সড়ক ও ফুটপাতে অবৈধভাবে নির্মাণ সামগ্রী তা নিলামে ৩ লক্ষ ৫১ হাজার ৯০০ টাকায় বিক্রয় করা হয়। বনানীতে ফুটপাতে অবৈধভাবে ২টি ফ্রিজ রেখে জনচলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করায় তা নিলামে ১৪ হাজার ৩৭৫ টাকা বিক্রয় করা হয়।
এছাড়া ফুটপাত ও সড়ক থেকে প্রায় ৩০টি দোকান উচ্ছেদ করা হয় এবং অবৈধভাবে ফুটপাত ও সড়ক দখল করায় এক ব্যক্তিকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অঞ্চল-৬ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরিন নতুন বাজার থেকে বাড্ডা পর্যন্ত মোবাইল কোর্ট ও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় ফুটপাত ও সড়কে অবৈধভাবে থাকা প্রায় ১০০টি অস্থায়ী দোকান, টং ঘর ইত্যাদি উচ্ছেদ করা হয়। ফুটপাতে অবৈধভাবে মালামাল রাখায় ১ ব্যক্তিকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া জব্দকৃত মালামাল নিলামে ২২ হাজার ৪২৫ টাকা বিক্রয় করা হয়।