যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টনে চীনের কনস্যুলেট বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। দেশটির স্থানীয় সময় মঙ্গলবার এই ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কনস্যুলেটের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ার কথা বলা হয়।
বেইজিং এই নির্দেশকে ‘চরম উসকানিমূলক’ এবং ‘নজিরবিহীন স্পর্ধা’ হিসেবে বর্ণনা করে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বুধবার বলেছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র ভুল পথে যেতে থাকে, তাহলে আমরা কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
মেধাস্বত্ব রক্ষার জন্য তাদের এই পথে হাঁটতে হয়েছে। দেশটির স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র মরগান অর্টাগাস আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার প্রতি জোর দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তের ফলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে চীনে অবস্থিত মার্কিন কনস্যুলেটগুলো। চীনের চেঙ্গদু, গুয়াংজু, সাংহাই, শেনিয়াং এবং উহান শহরে মার্কিন কনস্যুলেট রয়েছে। সবগুলো কনস্যুলেটই চীনা প্রতিহিংসার শিকার হতে পারে।
করোনা ছড়িয়ে পড়ার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ওপর দোষ চাপাচ্ছে। করোনাকে ‘চীনা ভাইরাস’ হিসেবেও নামকরণ করেছেন ট্রাম্প। তবে ট্রাম্প প্রথমে শি জিনপিংয়ের করোনা মোকাবেলার প্রশংসা করেছিলেন।
করোনা নিয়েই চীন-মার্কিন উত্তেজনা বাড়ছে না। উইঘুর ও হংকং নিয়েও চীনের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। উইঘুর ও হংকংয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে চীনের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। পল্টা ব্যবস্থা নেয় চীনও। চীনের প্রযুক্তবিষয়ক কয়েকটি কম্পানিকেও বন্ধের হুমকি দিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্রে।