পাকিস্তান বলেছে তারা পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ (টিপিএনডাব্লু) চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত কোনো বাধ্যবাধকতায় নিজেদের আবদ্ধ মনে করে না।
সংবাদমাধ্যম ‘ডন’ জানিয়েছে, পরমাণু অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার চুক্তি গত শুক্রবার কার্যকর হয়েছে। তবে এতে বড় পারমাণবিক শক্তিধর কোনো দেশের স্বাক্ষর নেই।
জাতিসংঘের মতে, এই চুক্তিতে পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধ করার জন্য আইনত বাধ্যতামূলক বিষয়গুলির সন্ধান করা হয়েছে। এর মধ্যে যে কোনো পারমাণবিক অস্ত্র কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তান বলেছে যে পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধের বিষয়ে এই চুক্তির বাধ্যবাধকতা নেই কারণ তারা সব অংশীদারদের স্বার্থ বিবেচনায় নিতে ব্যর্থ হয়েছে। পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংক্রান্ত চুক্তিটি ২২ শে জানুয়ারী থেকে কার্যকর হয়েছিল।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে মার্কিন পরমাণু বোমা হামলার পুনরাবৃত্তি রোধের লক্ষ্যে দীর্ঘ দশকের প্রচেষ্টা শেষে এই অভিযানের সমাপ্তি হয়।
যদিও বেশ কয়েকটি দেশ এ চুক্তিকে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসাবে প্রশংসিত করেছে।
তবে তখনই এই চুক্তির বিরোধিতা করেছিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য এবং ভারত সহ বিশ্বের পারমাণবিক-সশস্ত্র দেশগুলি। জাপানও এই চুক্তি সমর্থন করে নি।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই চুক্তিটি, যা ২০১৭ সালের জুলাইয়ে গৃহীত হয়েছে, এটি “প্রতিষ্ঠিত জাতিসংঘ নিরস্ত্রীকরণ আলোচনার ফোরামের বাইরে করা হয়েছিল।
পাকিস্তান নিজেকে এই চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত যে কোনো বাধ্যবাধকতার দ্বারা আবদ্ধ বলে মনে করে না। পাকিস্তান জোর দিয়ে বলেছে যে এই চুক্তিটি কোনওভাবেই প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইনের উন্নয়নে অবদান রাখে না।
পাকিস্তান সহ পারমাণবিক-সশস্ত্র দেশগুলির মধ্যে কেও এই চুক্তিকে বিবেচনার অংশ মনে করেনি। এটি সব অংশীদারদের বৈধ স্বার্থকে এগিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়েছে।