আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় হু’মকি কি? যা ভবিষ্যতে আমাদের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে!
রোহিঙ্গা ইস্যু ও বড় চ্যালেঞ্জ নয় কিন্তু চীনের আ’গ্রাসী মনোভাবই হতে পারে আমাদের ভবিষ্যতে সার্বভৌমত্বের প্রতি সবচেয়ে বড় হুমকি।
আন্তর্জাতিক আ’দালত মিয়ানমারকে গ’ণহ’ত্যার দো’ষে দো’ষী করলেও চীনের প্রেসিডেন্টের ১৭ই জানুয়ারি মিয়ানমার সফর হ’তাশাজনক। দেশ দুটির মধ্যে মোট ৩৩টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যাতে সবচেয়ে বড় ভ’য়ানক চুক্তিটা হচ্ছে – রাখাইনে পশ্চিম সীমান্তে বংগোপসাগরে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ এবং রাখাইন রাজ্যে (চামসু) বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা। এর জন্যে রাখাইনে বিশেষ নিরাপত্তার জন্য চীনা নৌঘাঁটি ও স্থাপন হবে।
চীনের ৩ দিন আগে বাংলাদেশকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে পাশে থাকার কথা বলার পরদিনই রাখাইনে আবারও অ’ভিযান চালায় মিয়ানমার। সেই হাম’লায় ২ জন নি’হত ও হয়। সেখানে এখনো কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে। সমস্যার শুরু হবে যখন চীন পরিপূর্ণ নি’রাপত্তার জন্য সেখানে উপস্থিত হবে, তখন ঐ দেশে অবস্থানকারী জং’গী সংগঠন -আরা’কান রোহিঙ্গা স্যা’লভেশন আ’র্মি ( আরসা) এ দেশে ঢুকে পড়বে কিংবা সাধারণ রোহিঙ্গাদের সাথে সেই সংগঠনের অনেক সদস্যও হয়তো ইতিমধ্যেই ঢুকে পড়েছে!
আরা’কান রোহিঙ্গা স্যাল’ভেশন আ’র্মি ( আ’রসা) এই সংগঠনের প্রধান নেতা আতাউল্লাহ, যিনি জন্মসূত্রে রোহিঙ্গা হলেও জন্ম করাচীতে এবং সৌদিতে বড় হন এবং সেখান থেকেই এই সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়। তার বহু জি’হাদী ভাষণ ইউটিউবেও পাওয়া যায়। আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা ‘ ইন্টারন্যাশনাল ক্রা’ইসিস গ্রুপ ‘ তাদের এক রিপোর্টে জানাচ্ছে – সংগঠনটি মূলত গড়ে উঠেছে সৌদি আরবে চলে যাওয়া রোহিঙ্গাদের দ্বারা। যার প্রধান নেতা আবু উমর জুনুনি ওরফে আতাউল্লাহ নামে পরিচিত। যার বিস্তর নেটওয়ার্ক রয়েছে ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশে।
এই আ’রসার সদস্যরা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের প্রতি না আবার বড় রকমের জি’হাদি কার্যক্রম শুরু করে দেয়! কে জানে হয়তো ইরানের মতো ইসলামিক রে’ভ্যুলেশন ঘটিয়ে না বসে! যেভাবে তৌ’হিদি জনতার আ’স্ফালন দেখতে পাচ্ছি সে সন্দেহ থেকেই যায় কিংবা এদের হ’ত্যা করতে চীন ও কি আমেরিকার মতো ( যেভাবে ইরাক, সিরিয়ায় হয়) ড্রো’ন হা’মলা না শুরু করে।
বাংলাদেশের সাথে শুধু একটা জায়গায় পেরে উঠছে না চীন আর তা হলো গার্মেন্টস সেক্টর। এ দেশ অ’স্থিতিশীল হলে তারা শুধু একচেটিয়া ব্যবসা করবে এই ক্ষেত্রে। আর তার অন্যান্য প্রভাব ও পড়বে তাদের শ’ত্রুদেশ ভারতের উপর। অ’স্থিরতা ভারতেও সৃষ্টি হতে পারে।
রোহিঙ্গা ইস্যু যে চীনেরই সৃষ্টি তা একরকম নিশ্চিতই বলা চলে। এখন শুধু গুটি চালার পালা।
লেখকঃ কাইফি লিও
অনলাইন একিটিভিস্ট।