বিশ্বে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে।আজ বৃহস্পতিবার মধ্যাণ্হ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪ লাখ ৩০ হাজার ২৪২। প্রাণ হারিয়েছেন ২ লাখ ৯৮ হাজার ১৮৩ জন। তবে, করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যাও কম নয়। এদিন পর্যন্ত প্রায় ১৬ লক্ষ ৬১হাজার ৫৩৬ মানুষ প্রাণঘাতী ভাইরাসকে জয় করেছে।
এদিকে, ভাইরাসের হানায় ল্যাজে-গোবরে অবস্থা আমেরিকার। প্রতিদিন সেখানে হাজারো মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। বুধবার পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ১৪ লক্ষ ৮ হাজার। প্রাণ হারিয়েছেন ৮৩ হাজার ৪৫৫ জন। এর মধ্যেই বেকারি, আর্থিক ক্ষতির যুক্তি দিয়ে বারবার লকডাউন তুলে দেওয়ার বার্তা দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কয়েকটি প্রদেশ তাঁর ডাকে সাড়াও দিয়েছে। কিন্তু, এই পদক্ষেপ বড় বিপদ ডেকে আনছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন মার্কিন সরকারের উচ্চপদস্থ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফসি। মঙ্গলবার সেনেট কমিটিকে সতর্ক করে তিনি বলেছেন, ‘তাড়াহুড়ো করে লকডাউন তুললে আরও মানুষের মৃত্যু হবে। আর্থিক দিক থেকেও ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে দেশ। কেউ সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। অন্যদিকে, করোনা সংকট থেকে বেরতে ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের আর্থিক প্যাকেজের প্রস্তাব দিয়েছেন হাউসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি।
বুধবার প্রাণহানির দিকদিয়ে স্পেনকে টপকে গেল ফ্রান্স। বিগত ২৪ ঘণ্টায় সেদেশে আরও ৩৪৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। সবমিলিয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে প্রায় ২৭ হাজার মানুষের। অপরদিকে, বুধবার থেকে ইংল্যান্ডে লকডাউন শিথিল করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে কোলকাতার বাংলা দৈনিক বর্তমান এর প্রতিবেদন সূত্রে প্রকাশ, চলতি সপ্তাহে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টে ধাপে ধাপে লকডাউন তোলার রূপরেখা প্রকাশ করেছিলেন। এদিন পর্যন্ত সেখানে মৃতের সংখ্যা ৩২ হাজার ৬৯২। রাশিয়াতে বুধবারও ১০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। সবমিলিয়ে ভ্লাদিমির পুতিনের দেশে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যথাক্রমে ২ লক্ষ ৪২ হাজার ২৭১ এবং ২ হাজার ২১২।
এদিকে, পাকিস্তানেও সংক্রমণ দ্রুত বেড়ে চলেছে। সার্বিকভাবে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে। সেই সঙ্গে মৃত্যু হয়েছে ৭৩৭ জনের। সিঙ্গাপুরেও বুধবার ৬৭৫ জন মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ হাজার ৩৪৬। নেপালেও একধাক্কায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বাড়ল। নতুন করে ৮৩ জন করোনা পজিটিভ রোগীর খোঁজ মেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ২১৭। চীনেও আরও ১৫ জন আক্রান্ত
হয়েছেন। অন্যদিকে, মেক্সিকোতে প্রতিদিন বহু মানুষ করোনার বলি হচ্ছেন। তা সত্ত্বেও লকডাউন তুলে নির্মাণ, খনি ও ভারী গাড়ি তৈরির শিল্পে কাজ শুরুর জন্য গাইডলাইন প্রকাশ করেছে সরকার। এদিনও সেখানে দু’হাজারের মতো মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এই নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৩৮ হাজার ৩২৪ এবং প্রাণ হারিয়েছেন ৩ হাজার ৯২৬ জন।