সিরাজুর রহমান: মার্কিন প্রশাসন গত ৯ই জুলাই ২০২০ (বৃহস্পতিবার) জাপানের কাছে ১০৫টি অত্যাধুনিক এফ-৩৫ লাইটনিং-২ স্টিলথ জেট ফাইটার বিক্রয়ের অনুমোদনের বিষয়টি ঘোষণা করে। নতুন এই ১০৫টি এফ-৩৫ স্টিলথ জেট ফাইটারের বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৩.১১ বিলিয়ন ডলার। যার মধ্যে ৬৩টি এফ-৩৫এ সিরিজের এবং ৪২টি এফ-৩৫বি সিরিজের (সর্ট টেকঅফ এণ্ড ভার্টিকেল ল্যাণ্ডিং) স্টিলথ জেট ফাইটার কিনবে জাপান।
আসলে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে ক্রমোবর্ধমান চীন ও উত্তর কোরিয়ার সামরিক হুমকী ও আগ্রাসী নীতির মোকাবেলায় জাপানের আবে সরকার ২০২০-২১ অর্থ বছরে সামরিক বাজেট রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি করে ৫০.৩০ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে। আর এই বাজেটের একটি বড় অংশ মার্কিন লকহীড মার্টিন কর্পোরেশনের ১০৫টি এফ-৩৫ লাইটনিং-২ স্টিলথ জেট ফাইটার ক্রয়ের বিশেষ ফাণ্ড হিসেবে বরাদ্দ রাখা হবে।
তাছাড়া ২০১৮ সালের শেষের দিকে জাপানের আবে সরকার তাদের পাঁচ বছর মেয়াদী প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা অনুমোদন করে। যাতে জাপানের সেলফ ডিফেন্স নেভাল ফোর্সের দুটি ‘ইজুমো’ এবং ‘কাজা’ ক্লাস হেলিকপ্টার ক্যারিয়ারকে ব্যাপক আধুনিকায়ন করে ২৭,০০০ টন ওজনের লাইট এয়ার ক্রাফট ক্যারিয়ারে রুপান্তরের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। যা কিনা ভবিষ্যতে ৪২টি এফ-৩৫বি সিরিজের স্টিলথ জেট ফাইটার অপারেট করবে। আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ৭৫ বছর পর জাপান আবারো নতুন করে মহাসাগরের বুকে নিজস্ব কোন এয়ার ক্রাফট ক্যারিয়ার ভাসাতে যাচ্ছে।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে লকহীড মার্টিন কর্পোরেশনের তৈরি সুপার স্টিলথ এফ-৩৫এ ক্যাটাগরি জেট ফাইটারের মূল্য ৯৪.৪০ মিলিয়ন ডলার থেকে ৫.৪% কমিয়ে ৮৯.২০ মিলিয়ন নির্ধারণ করা হয়েছে। আবার এফ-৩৫বি ক্যাটাগরির (সর্ট টেকঅফ এণ্ড ভার্টিকেল ল্যাণ্ডিং) জেট ফাইটারের মুল্য ১২২.৪ মিলিয়ন ডলার থেকে ৫.৭% কমিয়ে ১১৫.৫০ মিলিয়ন ডলার এবং এফ-৩৫সি ক্যাটাগরির জেট ফাইটারের মূল্য ১২১.২০ মিলিয়ন ডলার থেকে ১১.১% কমিয়ে ১০৭.৭০ মিলিয়ন ডলারে নির্ধারণ করা হয়েছে। মুলত ১.৫৩ ট্রিলিয়ন ডলারের সুবিশাল জায়ান্ট এভিয়েশন এফ-৩৫ প্রজেক্টে ম্যাসিভ প্রডাকশন ক্যাপাবিলিটি বৃদ্ধি পাওয়ায় মার্কিন লকহীড মাত্তীন কর্পোরেশন এফ-৩৫ এর পার ইউনিট কস্ট কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এফ-৩৫ এর দাম আরো কিছুটা হ্রাস পেতে পারে।