চীনে ভ’য়াবহ রূপ নিয়েছে করোনা ভা’ইরাস। ম’রণঘা’তী এ ভা’ইরাসে এখন পর্যন্ত মৃ’তের সংখ্যা বেড়ে ১০৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
নতুন করে এক হাজার ৩শ’ জন এ ভাই’রাসে আ’ক্রান্ত হয়েছেন। আ’ক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে সাড়ে ৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ভা’ইরাসটি ঠে’কানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে চীন। এ ভাইরাসের প্রতিষে’ধক তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। এরই মধ্যে আশার আলো দেখতে পেয়েছেন চীনের চিকিৎসকরা।
করোনা ভাই’রাসের এই নতুন জাতটি জ’টিল আকার ধারন করার আগেই ভ্যা’কসিনটি আবিস্কার করতে পারবেন বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন।
চীনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দাবি, ভাই’রাসটির নি’র্মূলে যে নতুন ভ্যাক’সিন আবিষ্কার করেছেন তাতে তারা সফল হয়েছেন। চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন শিনহুয়া নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীদের এ দাবি প্রকাশিত হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটিতে বলা হয়েছে, বিজ্ঞানীরা চীনে এই ভাইরা’সটির ম’হামারির সময় যে ড্রা’গটি ব্যাবহার করেছিলেন, তা বর্তমান ভাই’রাসটির নি’র্মূলে প্রোয়োগ করে দেখছেন। স্থানীয় ভাষায় এটি আলুভিয়া ওকালেতা নামে পরিচিত। চীনা কর্তৃপক্ষ ওষ’ধটির প্রযাপ্ত সরবরাহের জন্য সংশ্লিট সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক একটি কোম্পানী (এফভি) তা নিশ্চিত করেছে।
শিনহুয়া নিউজ এজেন্সির উদ্ধৃতি দিয়ে ডয়েচে ভেলে জানিয়েছে, শুধুু চীন নয় অন্যান্য দেশের বিজ্ঞানীরাও এই ভাইরা’সটির ভ্যাক’সিন আবিষ্কারের জন্য তৎপর। চীনা গবেষকরা খুব দ্রুতই রো’গটির সঠিক রুপ স’নাক্ত করতে পেরেছেন। বিভিন্ন দেশের গবেষকদের নিয়ে চীন যৌথভাবে ভ্যা’কসিনটি আবিষ্কারে কাজ করছে। তারা আশা করছেন কয়েক মাসের মধ্যেই করোনাভাই’রাসের ভ্যাক’সিন আবিষ্কারে সফল হবে।
গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেইপ্রদেশের উহান শহরে একটি সামুদ্রিক বাজার থেকেই ওই করোনা ভা’ইরাস ছড়িয়ে পড়ে। এর পর তা চীনের সী’মান্ত পেরিয়ে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম হয়ে অস্ট্রেলিয়া, নেপাল, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ফ্রান্স এবং যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়েছে।